ব্রাজিল দলে জায়গা হলো না নেইমারের, যা বললেন আনচেলত্তি

প্রকাশ : 2025-05-27 15:46:34১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ব্রাজিল দলে জায়গা হলো না নেইমারের, যা বললেন আনচেলত্তি

ব্রাজিলের ডাগ আউটে প্রথম বারের মতো বসতে চলেছেন কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিল সমর্থকদের আশা ছিল, একই সময়ে নেইমারও ফিরবেন জাতীয় দলে। তবে তার ভাগ্যটা সুপ্রসন্ন হয়নি। তাকে ছাড়াই ব্রাজিল জুন উইন্ডোর দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে।

২০২৩ সালে সবশেষ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চড়িয়েছিলেন নেইমার। এরপর থেকেই ব্রাজিলিয়ান এই তারকা সময়ে অসময়ে ছিলেন মাঠের বাইরে। তবে ব্রাজিলের হয়ে আর কখনো খেলতে পারেননি তিনি। শেষ কিছু দিনে তিনি মাঠে ফিরেছেন বটে। কিন্তু তিনি এরপর মাঠের বাইরে গেছেন একাধিকবার। কারণ ওই চোটই।

সব মিলিয়ে আসছে উইন্ডোয় তাকে দলে ভিড়িয়ে ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাননি কোচ। নেইমারকে না রাখার বিষয়ে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি এমন খেলোয়াড়দের বেছে নিয়েছি যারা ফিট আছে। নেইমার সম্প্রতি চোটে পড়েছিল। সবাই জানে নেইমার কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, সে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং থাকবে।’

তবে নেইমারকে না পেলেও ২০২৩ সালে সবশেষ ব্রাজিল দলে খেলা কাসেমিরোকে দলে ফিরিয়ে এনেছেন কোচ আনচেলত্তি। কাসেমিরোকে স্কোয়াডে রাখা প্রসঙ্গে আনচেলত্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। শেষ মৌসুমে পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে খুব একটা ভালো সময় যায়নি তার। এরপরও তিনি ব্রাজিল দলে, বিষয়টা কৌতূহলেরই জন্ম দিয়েছিল। 

এই প্রশ্নের জবাবে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমার মতে, ও একজন দারুণ খেলোয়াড়। আমি ভাগ্যবান ছিলাম, ওর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয় জাতীয় দলের জন্য এমন একজন খেলোয়াড় দরকার যার মধ্যে নেতৃত্বগুণ, ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা আছে। ব্রাজিলে সবসময় প্রতিভার অভাব ছিল না।’

‘আধুনিক ফুটবলে প্রতিভার সঙ্গে দরকার মনোভাব, দায়বদ্ধতা ও আত্মত্যাগ। কাসেমিরোর মধ্যে এই গুণগুলো আছে। যারা দলে সুযোগ পেয়েছে, তাদের অনেকের মধ্যেই এই বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে।’
নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি কাল রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এসেই ব্রাজিল দলে বড় কিছু পরিবর্তন এনেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য ঘোষিত তার প্রথম স্কোয়াডে জায়গা হয়নি নেইমারের। তবে ফিরেছেন অভিজ্ঞ কাসেমিরো, রিশার্লিসন ও অ্যান্টনি।

অক্টোবর ২০২৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় তার বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ব্রাজিল দলেও খেলা হয়নি আর। নেইমার সম্প্রতি চোট থেকে সেরে উঠে সান্তোসের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে সেলেসাওদের দলে ফেরা হয়নি তার।

নেইমার ফিরতে না পারলেও কপাল খুলে গেছে টটেনহ্যামের রিশার্লিসন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরোর। অক্টোবর ২০২৩-এর পর এই প্রথম জাতীয় দলে ফিরলেন দুজনে।

এদিকে অ্যান্টনি বর্তমানে রিয়াল বেটিসে ধারে খেলছেন। তিনি দারুণ ছন্দে আছেন, দলকে নিয়ে গেছেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে। তিনিও জায়গা পেয়েছেন দলে। তবে মূল দলে জায়গা করে নিতে তাকে লড়াই করতে হবে রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে।

রাফিনিয়া বার্সেলোনার হয়ে এবার ৫৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন, সঙ্গে ২২টি অ্যাসিস্ট। ভিনিসিয়ুস রিয়াল মাদ্রিদে আনচেলত্তির অধীনেই খেলেছিলেন। এবার তিনি জাতীয় দলেও ইতালিয়ান এই কোচের সান্নিধ্য পাবেন।

বিশ্বকাপের টিকিট অবশ্য এখনো নিশ্চিত হয়নি ব্রাজিলের। দক্ষিণ আমেরিকার গ্রুপে ১৪ ম্যাচে পাঁচটি হেরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দলটি।

ব্রাজিল স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল), বেন্তো (আল নাসর), হুগো সুজা (করিন্থিয়ানস)।
ডিফেন্ডার: আলেক্সসান্দ্রো (ফ্লামেঙ্গো), আলেক্সসান্দ্রো রিবেইরো (লিল), বেরালদো (পিএসজি), কার্লোস অগুস্তো (ইন্টার মিলান), দানিলো (ফ্লামেঙ্গো), লেও ওর্তিস (ফ্লামেঙ্গো), মার্কিনিওস (পিএসজি), ভেন্দারসন (মোনাকো), ওয়েসলি (ফ্লামেঙ্গো)।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রেয়াস পেরেইরা (ফুলহ্যাম), আন্দ্রে সান্তোস (স্ট্রাসবুর্গ), ব্রুনো গিমারেশ (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), এডারসন (আতালান্তা), গারসন (ফ্লামেঙ্গো)।
ফরোয়ার্ড: অ্যান্টনি (বেটিস), এস্তেভাও (পালমেইরাস), গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি (আর্সেনাল), মাতেউস কুনিয়া (উলভস), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা), রিশার্লিসন (টটেনহ্যাম), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।