ব্যাটে-বলে দাপট বাংলাদেশের, ফলো অনের শঙ্কায় আইরিশরা

প্রকাশ : 2025-11-20 17:44:36১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ব্যাটে-বলে দাপট বাংলাদেশের, ফলো অনের শঙ্কায় আইরিশরা

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়ার পর বল হাতেও আলো ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একশর আগেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে ফলো অনে ফেলানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে টাইগাররা।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ৩৭৮ রানে পিছিয়ে। ফলো অন এড়াতে এখনও ১০২ রান করতে হবে সফরকারীদের।বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ। একটি করে খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ব্যাট হাতে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল সাবধানী। একাদশ ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন খালেদ আহমেদ। পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউ করেন ডানহাতি পেসার। তাতে ভাঙে ৪১ রানের ওপেনিং জুটি। ২৭ রান করেন স্টার্লিং। একটি রিভিউ নষ্ট করে যান তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আইরিশরা। বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই অ্যান্ডি বালবার্নিতে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ বানান হাসান মুরাদ।

তার মতো আক্রমণে এসেই উইকেটের স্বাদ পান মিরাজ। ভোগান্তি দিতে থাকা চ্যাড কারমাইকেলকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি কারমাইকেলের। উল্টো দ্বিতীয় রিভিউটা নষ্ট করে যান তিনি, করেন ৫১ বলে ১৭ রান।

পরের ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারকে রানের খাতা খুলতে দেননি মুরাদ। চমৎকার ডেভিভারিতে করে দেন বোল্ড।

প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন হ্যারি টেক্টর। তাকেও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল। ৩৪ বলে এক চারে ১৪ রান করেন টেক্টর। ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এরপর ৫ ওভার মতো খেলা হলেও আর বিপদ বাড়তে দেননি লরকার টাকার (৩৩ বলে ১১*) ও স্টেফান ডোহেনি (২১ বলে ২*)।

এর আগে হাতের ছয় উইকেটে পুরো দুই সেশন ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

তিনটি শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক–মুমিনুল, পঞ্চম উইকেটে মুশফিক লিটন, ষষ্ঠ উইকেটে লিটন–মিরাজ শতরানের জুটি গড়েছেন।

দ্বিতীয় দিন ৬১.১ ওভারে ১৮৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে মুশফিকুর রহিমের পর সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রানের চেষ্টায় ৪৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

১০৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সফলতম বোলার ম্যাকব্রাইন। দুই বছর আগে মিরপুরেই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দুটি করে উইকেট নেন গ্যাভিন হোয়ে ও ম্যাথু হামফ্রিজ। তিন স্পিনারই দেন একশর বেশি রান।

শততম টেস্ট খেলতে নেমে আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। পরের দিন দ্বিতীয় ওভারে তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা স্পর্শ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। স্পর্শ করেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হককে।

আগের দিন মুশফিক যখন ক্রিজে যান, বাংলাদেশ তখন ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে। এরপর মুমিনুলকে নিয়ে শতরানের জুটিতে উড়িয়ে দেন সেই চাপ। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি মুশফিক। ম্যাথিউ হ্যাম্ফ্রেসের বলে আউটসাইড এজ হয়ে আউট হন তিনি ১০৬ রান করে।

২১৪ বলে ৫ চারে ইনিংসটি সাজান মুশফিক। তার বিদায়ে ভাঙে পঞ্চম উইকেটে ২০১০ বলে ১০৮ রানের জুটি।এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি উপহার দেন লিটন। দুজনে ১৮৯ বলে যোগ করেন ১২৩ রান। ১০৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৭ রান করেন মিরাজ।

দ্বিতীয় দিন সকালে সবার নজর ছিল মুশফিকের দিকে। তার আড়ালে নিজের কাজটা করেছেন লিটন। পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি, মিরপুরে দ্বিতীয়।১৯২ বলে আট চার ও চার ছক্কায় ১২৮ রান করেন লিটন।