বৃষ্টির অভাবে পঞ্চগড়ে আমন চাষ ব্যাহত
প্রকাশ : 2025-07-12 19:35:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পরিবর্তিত আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে পঞ্চগড়ে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন রোপনের জমি তৈরি করতে পারছেনা কৃষক। প্রকৃতির নিয়মে পানির উপড় নির্ভর এ অঞ্চলের কৃষক।
কৃষকরা এর মধ্যে বাদাম ,ভ’ট্রা সহ নানা ফসল তুলে নিলে জমিতে পানির অভাবে জমিতে আগাছার জন্ম হয়েছে। কৃষকরা জমি তৈরি করতে বৃষ্টির অপেক্ষা করছে। এছাড়া এর মধ্যে বীজতলার চারা নষ্ট হতে বসেছে।খুব সহসা বৃষ্টি না হলে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মূখে পড়তে পারে।কৃষকরা তাদের আমন ধানের চাষে সেচ না দিয়ে বর্ষার পানির উপড় নির্ভর করে ‘এতে করে খরচ কম হয়।
আবাদের পর এই আমন ধানের উপড় খাবার সহ পরিবারের অন্যান্য খরচ এই ধানে র্নিভর। সেই যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। তবে জমি অনুযায়ি বাংলা মাসের মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত আমনের চারা জমিতে রোপন করা হয়ে থাকে। চলতি বছর আষাঢ়ের শুরুর দিকে বর্ষার বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে কৃষকরা কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে আশায় বুক বেধেঁছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে খরা দেখা দেয়। প্রায় দি;ন আকাশে মেঘ দেখা দিলে বৃষ্টি হচ্ছেনা। কিছু কিছু সময় ধরে বৃষ্টি হলেও তা শুধু মাটি ভিজে গেলেও ‘তবে সেই বৃষ্টি কোনো কাজে আসছেনা।আষাঢ় শেষ হওয়ার পথে ‘কিন্তু কাঙ্খিত বৃষ্টি নেই। ফলে জেলার কৃষকদের মাঝে চিন্তা বেড়েছে। তবে জেলার কিছু কিছু জায়গায় আমন রোপন শুরু হলেও অধিকাংশ এলাকায় কৃষক তার জমিতে একটি চারা রোপন করতে পারেনি।
জানা যায়, এ সময়টিতে এ জেলায় ‘বলান’ বা ‘দোগাছি’ আমন চারা রোপন করে থাকেন কৃষকরা। পরে আমন ক্ষেত থেকে সেই চারা তুলে নিয়ে পুনরায় চারা রোপন করে থাকেন। এতে করে ধানের ফলন ভালো হয়। এর ফলে কোন চিটা ধরেনা। বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি জমে না থাকার দরুণ অধিকাংশ কৃষক তাদের জমিতে এই ‘বলান’ চারা রোপন করতে পারেনি। তবে ে কউ কেউ সেচ দিয়ে চারা রোপন করলেও জমির মাটি পরে ফেঠে চৈৗচির হয়ে যাচ্ছে।পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ও আটোয়ারী উপজেলার ধামোর এলাকার অনেক কৃষকরা এম অবস্থায় পড়েছে। কদিন আগে ওই এলাকায় গেলে এ অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। আটোয়ারীর বারোঘাটি ও গিরাগাঁও কৃষক রশিদ এবং কফিল জানান বৃষ্টির পানির অভাবে আমরা আমন রোপন করতে পারিনি। জমি তৈরি করবো কখন আর চারা রোপন করবো কখন।এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমনের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে এক লাথ ৩০ হাজার হেক্টর জমি। এব্যাপারে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন ‘নীচু জমিতে পানি আছে। আমন রোপন চলছে। যে সব জমিতে পানি নাই ‘ এ সুযোগে সেসব জমিতে ঘাস ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই জমি তৈরি করা হবে। আগামী ৮ অথবা দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আমন রোপন দেরী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন কমে আসতে পারে। কারন হিসেবে তিনি বলেন চারার বয়স বেশি হলে উৎপাদন কম হয়।