বিভিন্ন রাস্তার ২৮টি ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ, কাউনিয়ার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি

প্রকাশ : 2025-05-30 18:39:16১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বিভিন্ন রাস্তার ২৮টি ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ, কাউনিয়ার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি

কাউনিয়া উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কাচা-পাকা রাস্তায় এলজিইডির আওতাধীন কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজ-কালর্ভাট গুলোর মুখ বন্ধ করে দেয়ায় তা জনগনের কোন কাজে আসছে না। এতে একদিকে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।। ব্রীজ-কালভার্টের মুখ একের পর এক বন্ধ করা হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান, এমন কি প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এলজিইডির আওতাধীন ২৮টি ব্রীজ-কালভার্টের মুখ কারনে অকারনে মাটি দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষ এ বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন না কারায় দিনদিন ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দোকান, বাড়ী-ঘর, মৎস্য খামার, মৎস্য হ্যাচারী নির্মাণ করা হয়েছে। এছারও অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কের ব্রীজ কালভার্টের মুখে বানা দিয়ে বন্ধ করে পানি প্রবাহ আটকিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে টেপামধুপুর বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তায় ২টি, মীরবাগ বাজারে ১টি সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ২৮টি ব্রীজ কালভার্টের মূখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় থাকা প্রভাব শালী ব্যাক্তিরা সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ-কাল ভার্টের মূখ বন্ধ করে দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শত শত একর জমির ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থানীয় জনসাধারণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে কোন প্রতিকার পাননি। স্থানীয় ঠিকাদার আঃ রহিম জানায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রীজ-কালর্ভাট গুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারের রাজস্ব আয় হতো। স্থানীয়রা জানান অনেক ব্রীজ ও কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ার কারণে অসময়ে দেখা দিচ্ছে জলবদ্ধতা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার জানান, বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহের জন্য নির্মিত ব্রীজ-কালভার্ট গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান জানান উপজেলায় ঠিক কতটা ব্রীজের মুখ বন্ধ রয়েছে এ পরিসংখ্যান তার দপ্তরে নাই। ব্রীজের মুখ খোলা রাখার ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নাই। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবে। উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় জনগনের চাহিদার ভিত্তিতেই ব্রীজ-কালভার্ট গুলো ণির্মান করা হয় কিন্ত পরবর্তিতে ওই স্থানীয় জনগনই ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান বিভিন্ন স্থানে ব্রীজ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর মধ্য দিয়ে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।