বাজেটে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ না রাখার আহ্বান টিআইবির
প্রকাশ : 2021-05-22 21:29:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আসন্ন বাজেটে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ না রাখার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংগঠনটি আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়।
আগামী ৩ জুন ২০২১–২২ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করার কথা রয়েছে। এর আগে টিআইবি এ আহ্বান জানাল।
টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ মেয়াদে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করে। এর মাধ্যমে কর ব্যবস্থায় খেলাপির সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি তৈরি হবে। আর উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখায় দেশে দুর্নীতিসহায়ক একটি উদার পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে দুর্বল করার মাধ্যমে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার যেকোনো চেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
দেশের অর্থনীতিতে যত দিন অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে, তত দিন তা ঘোষণার সুযোগ থাকবে বলে অর্থমন্ত্রীর যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, চলতি বাজেটে অর্থের উৎস নিয়ে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করার বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বৈধ উপায়ে অর্জিত ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালোটাকার মধ্যকার ফারাক একাকার করে দেওয়া হয়েছে। এমন বাস্তবতায় কালোটাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ অনির্দিষ্ট মেয়াদে রাখার পরিকল্পনা দেশের কর ব্যবস্থায় ন্যায় ও ন্যায্যতার প্রশ্নকে প্রকট করে তুলবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মাত্র ১০ ভাগ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে সৎ করদাতারা কেন সর্বোচ্চ ২৫–৩০ ভাগ কর দেবেন?
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাময়িকভাবে এমন সুযোগ থেকে সরকার কিছুটা রাজস্ব পেলেও ধীরে ধীরে তা বড়সংখ্যক করদাতাদের খেলাপি হতে উৎসাহিত করবে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে রাজস্ব ক্ষতির মাত্রা বাড়বে। করখেলাপির নতুন এক সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেকর্ড ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বৈধ হওয়ার খবরে নীতিনির্ধারক মহলে যে সন্তুষ্টির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেটি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের প্রতি একরকম উপহাসই বলা চলে। কেননা, অতিমারির মধ্যেও বিপুল অর্থ সাদা করার প্রবণতাই বলে দেয় দেশে একটি দুর্নীতিসহায়ক ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে এবং সেটি যেকোনো পরিস্থিতিকেই নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজে লাগাতে প্রস্তুত দুর্নীতিগ্রস্তরা।