বাগেরহাট নার্সিং ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ : 2024-08-15 19:10:46১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বাগেরহাট নার্সিং ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

বাগেরহাট নার্সিং ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে ক্লাস বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার( ১৫ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জড় হয়ে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ করেন। এর আগে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা মুনিগঞ্জস্থ নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে জড় হয়ে বিক্ষোভ করেন। বাগেরহাটের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করেন। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছে। শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা মেরে দেওয়া, হোস্টেল খাবারে অনিয়ম, প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষায় কম দেওয়ার ভয় দেখানো, ভাউচার বানিজ্যের মাধ্যমে টাকা লুটসহ নানা অনিয়মত করে আসছেন তিনি। এতদিন আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। তার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

মারিয়া আক্তার মিস্টি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের পদত্যাগ চাই। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।

শাকিল শেখ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ম্যামের কাছ থেকে মুক্তি চায়।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আমার শুসম্পর্ক রয়েছে। আমি কোন অন্যায় করিনি। কোন মহল হয়ত শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে এই ধরণের কর্মসূচি করাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে, ইনস্টিটিউট এর কোন শিক্ষক ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ পদে পদোন্নতি পাবে না, আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে নতুন ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ নিয়োগ দিতে হবে। অকারণে উপবৃত্তির টাকা কাটা যাবে না।হোস্টেলে মেয়েদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ভাইবার মার্ক ও ফরমেটিভ এর মার্ক নিয়ে কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভয়ভিতি দেখাতে পারবে না। ডাইনিং এর সকল বিষয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দারা নির্বাচিত কমিটি সকল সিদ্ধান্ত নিবে এবং উপদেষ্টা হিসেবে শিক্ষার্থীদের দারা বাছাইকৃত শিক্ষক থাকবে। ডাইনিং এর টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কোন অনুষ্ঠান সংরঞ্জাম কেনা যাবে না। ভাউচার বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল কাজের সচ্ছতা ও জবাদীহিতা করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসা সকল বাজেটের সচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।