বাগেরহাটে লকডাউনে ৪৯জনকে জরিমানা, একদিনে আক্রান্ত ৭৩
প্রকাশ : 2021-06-25 20:10:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাট জেলায় চলছে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। লকডাউনের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিন ব্যাপি ভ্র্রাম্যমান আদালতের অভিযানে স্বাস্থ্য বিধি না মানার অপরাধে ৪৯ জনকে ২৪ হাজার একশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘন্টায় ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৭৩ জন।এই হিসেবে সংক্রমনের হার দাড়িয়েছে ৪৬ শতাংশ। তবে এই সময়ে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এই নিয়ে বাগেরহাটে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ৮৬৭ জনে। মারা গেছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৮ জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮২৯ জন। শুক্রবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল থেকে বাগেরহাটের বেশিরভাগ সড়ক ও জনাকীর্ণ স্থান ফাকা ছিল। ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান ছাড়া সব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে প্রথম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনেও কিছু মানুষকে বাধ্য হয়ে হেটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, গেল দুই দিনে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। তবে আক্রান্তের হার কমেনি। লকডাউন চলছে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসাকরি খুব দ্রুত সংক্রমণের হার কমাতে সক্ষম হব আমরা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সব ধরণের চেষ্টা করছি। জেলার বিভিন্ন প্রবেশদ্বারসহ ১৩টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসা, খাদ্য পন্য ও জরুরী প্র্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সকল ধরণের গনপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার আহবান জানান তিনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, গেল ১৫ দিন ধরে বাগেরহাটে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা লকডাউন ঘোষনা করেছি। লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। প্রথমদিনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ জনকে ২৪ হাজার একশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সকলকে মাস্ক পরিথধানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া জরুরী কাজে বাইরে বের হওয়া দরিদ্র মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে এবং ঘরে থাকতে মাইকিং চলছে।