বাগেরহাটে মায়ের প্রভিডেন্ট ফান্ড-গ্রাচুইটির টাকা পেতে সন্তানের আকুতি
প্রকাশ : 2021-08-30 19:40:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাটে মৃত মায়ের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটির টাকা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাগর শেখ (৪২) নামের এক দিনমজুর। সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে নায্য পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাগেরহাট সদর উপজেলার মগরা গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে সাগর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা যায় আমার গর্বধারিনি মা হাছিনা বেগম মারা যায়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমার মা হাছিনা বেগম মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর পরে মায়ের কর্মস্থলের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটিসহ সকল পাওনা সুকৌশলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার নানী ও মামারা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নায্য পাওনার দাবিতে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকার আইনের ৩৭২ ধারা মোতাবেক বাগেরহাট যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে আইনজীবীর সহযোগিতায় ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারী মামলা, আপত্তি ও আদেশেরে নকল কপি দিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন বরাবর আবেদন করি। কিন্তু ধূর্ত মামা রামপাল উপজেলার গাববুনিয়া দবির মল্লিকের ছেলে শাহিন মল্লিক ও নানী মোমেনা বেগম আমার মাকে নিসন্তান দেখিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটির টাকা তুলে নেন।
আমি মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সকল পাওনা বুঝে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। আমি যে মায়ের একমাত্র সন্তান সে প্রমান হিসেবে রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওয়ারেশ কায়েম রয়েছে। এছাড়া নানা বাড়ি গাববুনিয়া এলাকায় সবাই জানে আমি হাছিনার সন্তান।
অভিযুক্ত শাহিন মল্লিক বলেন, আমার বোন হাছিনা বেগম মৃত্যুর আগে আমাকে নমিনি করে দিয়ে গেছে। সেই অনুযায়ী বন্দরকর্তৃপক্ষ আমাকে টাকা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪-১৫ লক্ষ টাকা তুলেছি। আর আমার বোনের কোন সন্তান ছিল না।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহীনুর আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। প্রধান অর্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ কখনও কোন অনিয়ম করে না। সাগর যদি হাছিনা বেগমের সন্তান হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুক। সে যদি হাছিনা বেগমের বৈধ উত্তরাধিকারি হন তা হলে তিনি তার পাওনা পাবেন।