বাগেরহাটে দলিল লেখক সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ : 2022-05-08 19:27:09১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বাগেরহাটে দলিল লেখক সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম খান (৩২) এর বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলের জন্য প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলাম মোল্লার ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও ছেলেকে হত্যার হুমকী ও দিয়েছেন রবিউল ইসলাম। মোঃ রবিউল ইসলাম খানের এসব অত্যাচার থেকে বাঁচতে রবিবার (০৮ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসীর পুত্রবধু সাদিয়া আক্তার। এসময় সাদিয়া আক্তারের স্বামী আরাফাত হাসান ও ভাই সোহেল আহমেদ শেখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সাদিয়া আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর মোঃ রফিকুল ইসলাম মোল্লা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাউথ আফ্রিকা রয়েছেন। আমার শ্বাশুড়ি রাশিদা বেগম, স্বামী আরাফাত হাসান ও আমি শ্বশুরের বাড়িতে বসবাস করি। স¤প্রতি চিতলমারী উপজেলা সদরের আড়ুয়াবর্নী ডরপাড়া এলাকায় আমাদের বসত বাড়ির পাশে ৪শতক জমি ক্রয় করেন চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খানের ভাই উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম খান। পরবর্তীতে তার ক্রয়কৃত চার শতক জমির সাথে আমাদের মালিকানাধীন দুই শতক জমি জোড়পূর্বক দখল করে। তাদের ক্ষমতার ভয়ে আমরা চুপ করে ছিলাম। কিন্তু আমাদের আরও জমি দখলের জন্য মোঃ রবিউল ইসলাম খান পায়তারা শুরু করে। তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ২৫ এপ্রিল চিতলমারী থানায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালীস মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করার কথা ছিল। কিন্তু তারা শালীস মীমাংসায় না যেয়ে ৬ মে ১১টায় মোঃ রবিউল ইসলাম খান ও তার ভাইয়ের ছেলে মনিরুল খান (৩০)সহ ১১-১২জন সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে এসে ভাংচুর করে। আমরা প্রাণ ভয়ে ঘরের বাইরে যাইনি। ঘরবাড়ি ভাংচুর করে যাওয়ার সময় তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে যায়। এই অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শ্বশুরের জমি রক্ষা ও এই অন্যায়-অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন গৃহবধু সাদিয়া আক্তার।

সাদিয়া আক্তার আরও বলেন, মোঃ বাবুল হোসেন খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে তার ভাই রবিউল ইসলাম খান ও ভাতিজা মনিরুল খানের নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু বাহিনী গড়ে উঠেছে। তারা একের পর এক অসংখ্য মানুষের ভিটেমাটি দখল করেছে। এমনকি দেলোয়ার হোসেন মুন্সি নামের এক সাংবাদিকের জমি দখলেরও চেষ্টা করছেন এই চক্রটি। চিতলমারীর মানুষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খানের ভাই-ভাতিজার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়।  এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এসব অস্বীকার করে চিতলমারী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম খান বলেন, আমি কারও জমি দখলের চেষ্টা করিনি। কাউকে হুমকী-ধামকীও দেই নি। আমি চার শতক জমি ক্রয় করেছি, চার শতক জমিই ভোগ দখল করছি।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম কামরুজ্জামান বলেন, বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা রয়েছে। প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে ও পুত্রবধু মোবাইল করলে পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থলে গেছে। তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এরপরেও তারা যদি কোন প্রকার নিরাপত্তাহীনতা অথবা মারধরের শঙ্কা থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।