বাগেরহাটে ঠিকাদার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

বাগেরহাটে চা ল্যকর ঠিকাদার মোঃ সিরাজুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী আলামীন শেখ(৩৬)কে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে র্যািব। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে র্যাছব-৬ এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ৪০ পিস ফেনসিডিল ও আল আমিনের ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন জব্দ করেছে র্যােব সদস্যরা।

গ্রেফতার আলামীন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার হাড়িখালী এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। সে ঠিকাদার মোঃ সিরাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার এজাহারভুক্ত আসামী।

র্যা ব-৬ খুলনার সহকারী পরিচালক মিডিয়া বজলুর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ ঠিকাদার হত্যা মামলার আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরীর হরিনটানা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, আল আমিন ও দুলাল আকন মোটরসাইকেলে এসে ঠিকাদার সিরাজুলকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করার বিষয়ে আরও অনেক গুরুত্বপ্র্নূ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

গেল ০৮ অক্টোবর রাতে বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে সিরাজুল ইসলাম মনককে (৪৫) লক্ষ করে গুলি করে আল আমিন ও দুলাল আকন নামের দুই ব্যক্তি। তাদের গুলি ঠিকাদার সিরাজুল ইসলামের বাম পায়ের উড়ুতে লাগে। আহত অবস্থায় সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সে সুস্থ্য রয়েছে। ঠিকাদার মনক বাগেরহাট শহরতলীর কৃষ্ণনগর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট গনপূর্ত, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করে আসছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ঠিকাদার সিরাজুল ইসলামের বড় ভাই বড় ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ১০ অক্টোবর বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহজাহান আকনের ছেলে দুলাল আকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে ঠিকাদার হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেফতার হল।