বাগেরহাটে গর্ভধারিনী মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
প্রকাশ : 2021-05-27 19:49:04১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বারেহাটে গর্ভধারিনী মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের যশোরদি গ্রামে। মায়ের আদরের কুলাঙ্গার সন্তান মেহেদী হাসান (৩২) তার নিজের গর্ভধারিনী মাকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনসহ কিল ঘুসি ,লাঠি দিয়ে একাধিকবার মারধর করে বলে অভাগী মা মোসাঃ নাজমা বেগম (৪৭) অভিযোগে করেন।
মোসাঃ নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামী মোকলেছ আলী দিদার ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি ২সন্তান রেখে মারা যায়। আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকায় অনেক কষ্ট করে দুবেলা দুমুঠো না খেয়ে আদরের সন্তানদের লালন পালন করে বড় করে তুলেছি ,ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করিয়েছি, সেই মা আমি আজ অবহেলিত নিজের আদরের সত্মানের কাছে। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর পারিবারিকভাবে দৈবজ্ঞহাটী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে আমার ছেলে মেহেদী হাসান মেনে নিলেও পরবর্তীতে বিয়ের সূত্র ধরে আমাকে বিনা কারনে গালিগালাজসহ শারিরিক ,মানুষিক নির্যাতন করে।
গত ২০ মে আমি ছেলের বাড়িতে গিয়ে ভাত খেয়েছি। আমি কেন ভাত খেয়েছি, তার কারন জানতে চায় আমার ছেলে , তার সূত্র ধরে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয় ও বেধর মারপিট করে। ঐ দিনেই ছেলে আমাকে বলে আমি নাকি ঘরের একটি কবুতর চুরি করেছি, আমি বলি আমি কবুতর চুরি করি নাই,সাথে সাথে সে আমাকে চর মেরে বলে তোর কোরআন ছুয়ে বলতে হবে। আমি কোরআন ছুয়ে বললেও সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে টাটনে টানতে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। সে আমাদের বাড়ির সামনে অসংখ্য মানুষের সামনে আমাকে ইচ্ছে মত মারপিট করে ,আমি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। এর এগেও সে আমাকে কয়েকবার মারপিট ও গালাগাল দিয়ে বাড়ির থেকে বের করে দিয়েছে। এই কুলাঙ্গার ছেলে শুধু আমাকে নয় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে আমার বর্তমান স্বামীকে মেরে গুরুত্বর জখম করেছে। তিনি বলেন, প্রথমে আমিসহ নিকট আত্মীয় দিয়ে আমার ছেলেকে অনেক বুঝিয়েছি। শেষ পর্যন্ত যখন দেখেছি এই ছেলে আমাকে যে কোন সময়ে মেরে ফেলতে পারে তখন সম্পূর্ন নিরুপায় হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানাসহ পোলেরহাট ফাড়িতে অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অভিযোগ দিলেও তার কিঞ্চিত পরিমান পরিবর্তন হয়নি। সে এখন আমাকে মেরে ফেলে মাটিতে পুতে রাখবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগী নারী জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মেহেদী হাসান বলেন, আমি তাকে বিনা কারনে মারধর করিনি। তিনি তার গর্ভধারীনি মাকে বলেন তিনি একজন চরিত্রহীন মহিলা। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরো মারবো।
এ বিষয়ে পোলেরহাট ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, মোসাঃ নাজমা বেগমের দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র মেহেদী হাসান একাধিক ভাবে তার মাকে মারধর করেছে বলে সত্যতা পেয়েছি। তিনি বলেন,ঘটনাটি সত্যিই দুঃখ জনক। সঠিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।