বাগেরহাটে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ ঋণ প্রহিতার
প্রকাশ : 2021-06-12 20:01:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ ও ঋণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেরি বেগম নামের এক নারী ব্যবসায়ী। শনিবার (১২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার প্রামের বটতলা বাজারস্থ মা-মেরী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরী)-র স্বত্তাধীকারী মেরি বেগম এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় মেরি বেগমের ছেলে মিলন ফকির ও তার ছেলে মিরাজ ফকির উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ প্রহন করি। ব্যবসা ভাল হওয়ায় দুই বছরেই তাদের ঋণ শোধ করে দেই। পরে ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণের আশ্বাসে ৪২ লক্ষ টাকায় মেশিন ক্রয়ের চৃক্তি করি। কিন্তু ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড মেশিন ক্রয়ের জন্য আমাকে মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেয়। ৩ মাস পরে আবারও কাঁচামালের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তারা। মেশিন ও আনুসঙ্গিক মালামালের জন্য আমার ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। কাঁচামালের জন্য অবশিষ্ট কোন টাকা না থাকায় ফ্যাক্টরী পুরোদমে চালু করতে পারি নাই। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরী বন্ধ রয়েছে। ইউনাইটেড ফাইনান্সের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেই আমি ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে মেশিন ক্রয় করেছি। তা না হলে আমি কখনও এত বড় মেশিন ক্রয় করতাম না। ফ্যাক্টরী চালু করতে না পারলেও তাদের ঋণের আশায় আমি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ মাসে ১০টি কিস্তিতে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সকে ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছি। এখন আমি নিস্ব, আমার ফ্যাক্টরীর ২২ জন শ্রমিক না খেয়ে মরতেছে। আমার সংসারেও ঠিকমত ভাত জোটে না। ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকা স্বত্তেও ঋণের জন্য একের পর এক চাপ দিচ্ছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে গেল ২ জুন ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিসার জইফ হাসান আমার বাড়িতে আসেন। আমাকে লোন দেওয়ার কথা বলে আমার ব্লাঙ্ক অফিসিয়িাল প্যাড ও তাদের অফিসের কিছু কাগজপত্রে আমার স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে আমি জইফ হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সব কথা অস্বীকার করেন। ফ্যাক্টরী চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন ষাটোর্ধ এই নারী উদ্যোক্তা।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিরার জইফ হাসান (০১৯১১-০০৪৭০৯) নাম্বারে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।