বাগেরহাটে আ,লীগ কর্মী “ফিরোজ ’’ হত্যা, গ্রেফতার ১০
প্রকাশ : 2021-12-20 19:14:45১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় রামপাল থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ডের তিনদিন পরে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে নিহত ফিরোজের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার পরে পুলিশ ও র্যা ব অভিযান চালিয়ে এ মামলার ১০ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যা ব অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া ও শ্রীকলস এলাকার, মোঃ বজলু শেখ(২৫), ইমরান শেখ(২২), এনাম শেখ(৪২), সুমন শেখ(২১), সাগর গাজী(২২), মোঃ ফজলু শেখ (৪৫), ইনছান আলী (৭০), ডাবলু শেখ (২৪), সিরাজ শেখ(৫৫) এবং ইউনুস আলী (৩৪)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রামপাল সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস, এম জামিল হাসান জামুকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু চেয়ারম্যান জামুর সহযোগী ফিরোজ ঢালীর কারণে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র বার বার ব্যর্থ হয়। এরই জের ধরে ফিরোজকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেলাল-বাকি-মাহজিবসহ অন্যরা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্রীকলস গ্রামস্থ আবু সাইদের বাড়ীর সামনে বেলাল বেপারী ও তার ভাই বাকী বেপারীসহ ৬০-৭০ জন ফিরোজ ঢালীকে পিটিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে একই দিন বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফিরোজ।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী নাজমা বেগম ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় এজাহার নামীয় ১০জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
১৭ ডিসেম্বর সকালে রামপাল উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৃতভেবে ফেলে রেখে যায় আওয়ামী লীগ কর্মী বেলাল ব্যাপারি ও তার লোকজন। পরবর্তীতে একই দিন বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফিরোজ। এই হামলার ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন। আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।