বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু শূন্য হলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই: সিডিসি
প্রকাশ : 2022-04-27 19:45:50১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে করোনায় সম্প্রতি শূন্য মৃত্যু এবং শনাক্তের হার অনেকখানি কমে গেলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেছে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়াতে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে সিডিসি। আজ বুধবার সিডিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আমেরিকান সেন্টারে একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ডা. নিলি কায়ডোস-ড্যানিয়েলস এ সতর্কবার্তা দেন।
ডা. নিলি বলেন, 'মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে।''বাংলাদেশে টিকাদানের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। এটা খুবই ভাল খবর,' যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং আজ বুধবার শনাক্তের হার ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এর আগে এ বছরের শুরুর দিকে অমিক্রন ঢেউ শুরু হলে, তখনও বাংলাদেশে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার যথেষ্ট কম ছিল বলে উল্লেখ করেন ডা. নিলি।
তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের এই সফলতার গর্বিত অংশীদার। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৬১ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি সিডিসি করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ল্যাবরেটরি সিস্টেম, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে।'
তিনি বলেন, 'মহামারি চলাকালে সচেতনতা বৃদ্ধি, নমুনা পরীক্ষার কিট অনুমোদন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনেও সিডিসি সহায়তা করেছিল।'
'তবে কেউ মহামারিতে থাকা মানে এই নয় যে আমরা নিরাপদ,' যোগ করেন তিনি।
সিডিসির এই কর্মকর্তা বলেন, 'করোনা মহামারি চলাকালে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে এবং সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদার করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'নতুন কেউ বিচ্ছিন্নভাবে আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী মহামারি শুরু হয়ে যেতে পারে।'
'আমাদের সেগুলো প্রতিরোধ, শনাক্ত এবং সাড়াদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে,' ডা. নিলি বলেন।
তিনি এসব ক্ষেত্রে প্রস্তুতি হিসেবে তিনি স্বাস্থ্যখাতে লোকবল বৃদ্ধি, নতুন রোগ শনাক্তে নজরদারি ও উন্নত পরীক্ষাগার তৈরির পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের সব ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে অবকাঠামো এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেন।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি ২ লাখ লোকের জন একজন প্রশিক্ষিত এপিডেমিওলজিস্ট সুপারিশ করলেও, বাংলাদেশে এর অনুপাত অনেক কম।
তিনি বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর বিষয়ে সতর্ক করে এটিকে আগামীর ধীর মহামারির বিকাশ বলে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশ কার্যকরভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'ইউএস সিডিসি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বাড়াবে।'