বাংলাদেশসহ ৪ দেশ থেকে রেমডেসিভির নিতে চায় ভারত
প্রকাশ : 2021-04-29 21:15:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশসহ চারটি দেশ থেকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভির সংগ্রহ করতে চাচ্ছে ভারত। যদিও মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গিলিড সায়েন্সেস ভারতকে সাড়ে চার লাখ শিশি রেমডেসিভির সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশ, মিসর, উজবেকিস্তান ও আরব আমিরাত থেকে ওষুধটি সংগ্রহ করতে চায় ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত ভারত। এ মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে দৈনিক আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি দেশটিতে। আট দিন ধরে তিন লাখের বেশি করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। তার আগে ১৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন শনাক্ত হন দুই লাখের বেশি করোনা রোগী। আর এক সপ্তাহ ধরে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যান দেশটিতে। আর গতকাল থেকে দৈনিক মৃত্যু তিন হাজারের বেশি।
দিল্লি, মুম্বাইসহ কয়েকটি শহরের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেন–সংকট তৈরি হয়েছে ভয়াবহভাবে। রোগীদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে রেমডেসিভির সংগ্রহ করছে ভারত।
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিলে এ মাসের শুরুতে রেমডেসিভির আমদানি ও এর কাঁচামাল সংগ্রহের ওপর শুল্ক তুলে নেয় ভারত। এর মধ্যে রেমডেসিভির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গিলিড সিদ্ধান্ত নেয়, ওষুধটির সাড়ে চার লাখ শিশি ভারতকে দেবে তারা। সেই সঙ্গে রেমডেসিভির উৎপাদনের কাঁচামালও সরবরাহ করবে। ভারতীয় কর্মকর্তারা একে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ভারতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। ভারতকে অক্সিজেন–সামগ্রী পাঠাচ্ছে মার্কিন সরকার। এদিকে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে করোনার টিকা চেয়েছে এমন খবর অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লির একাধিক সূত্র।
এর আগে জানা যায়, টিকাদান কর্মসূচির পরিসর বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকা চেয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ডোজ টিকা পেতে আশাবাদী নয়াদিল্লি। এ ছাড়া কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র ফিল্টার সরবরাহের অনুমোদন দেবে বলে প্রত্যাশা ভারতের।
অন্যদিকে ভারতে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির প্রেক্ষাপটে দেশটির জনগণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতকে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার মধ্যে থাকছে প্রায় ১০ হাজার অ্যান্টিভাইরাল ইনজেকশন ও মুখে গ্রহণের ওষুধ, ৩০ হাজার পিপিই, কয়েক হাজার জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট।