বর্ষাকালেও পানির অভাবে পাট জাক দিতে পারছেনা কৃষক
প্রকাশ : 2023-07-31 11:17:38১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ভরা বর্ষা মৌসুমে খাল বিলে পানি না থাকায় সোনালী আঁশ, এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে রংপুরের কাউনিয়ার কৃষকের। অর্থনীতিতে ভূমিকা পালনকারী পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। সোনালী ফসল পাট ঘরে না তুলতে না পাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ কৃষক এ বছর আলু উঠানোর পর পাট বুনেছে। বিশেষ করে তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে পাটের চাষ হয়েছে বেশী। বর্তমানে পাট কাটার মৌসুম চললেও বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে কৃষকের মাথায় বাজ পড়েছে। কৃষক জমি থেকে পাট কেটে রাস্তার ধারে, জমিতে ফেলে রেখেছে। অনেকের পাট শুকিয়ে খড়ি হয়ে যাচ্ছে। অনেক কৃষক এখনও পাট কাটেনি। পানির অভাবে তারা পাট কেটে জাক দিতে পাচ্ছে না। পানি না থাকার কারনে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। যে সব কৃষক জমিতে অল্প পানিতে পাট জাক দিয়েছিল তাদের এখন মাথায় হাত। অনেকে জমি থেকে পাট ভ্যান, পাওয়ার ট্রলিতে করে এনে যেখানে পানি আছে সেখানে পাট জাক দেয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশী পড়ছে। পাট পচাতে না পারলে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। টেপামধুপুর ইউনিয়নের কৃষক দুদু মিয়া ও কোরবান আলী জানায় এবছর আলুতে তেমন লাভ হয়নি আবার যদি পাটে মার খায় তাহলে তারা মাঠে মারা যাবে। কৃষকের কথা কেউ শুনে না। সরকারি ভাবে পাটের মূল্য নির্ধারন করে পাট ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে এলাকার কৃষক লাভবান হবে। রংপুরর কাউনিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশী পাট উৎপাদন হয়। পাট ভাল মতো পানিতে পচাতে না পরলে পাটের মান ভাল হয় না এবং দামও পাবে না কৃষক। উপজেলায় যে সব সরকারী বে-সরকারী খাল বিল এবং বাধের রাস্তার নালা রয়েছে সে গুলোতে মাছ চাষ করায় সেবখানে পাট জাক দিতে পাচ্ছে না। এ ছাড়াও উপজেলার বেশীর ভাগ খাল ডোবা নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা নেই। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, এর মধ্যে তোষা ৬৫০, দেশি ৩৫ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারবীন জানান, পর্যাপ্ত পানি না থাকলে রিবোন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানো জন্য বিগত সময়ে ১৫৫টি রিবোন রেটিং মেশিন বিতরন করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ যন্ত্রটি সরবরাহ করলেও এ পদ্ধতি অবল্বনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। পাটের ফলনও ভাল হয়েছে, কিন্তু পানির অভাবে সেই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে না পারার আশংকা দেখা দিয়েছে।