বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট

প্রকাশ : 2021-11-27 19:17:32১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট

প্রাচীন রেলওয়ে জংশন বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ষ্টেশনের কোল ঘেসে গড়ে উঠেছে ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট। এই উপজেলার উন্নয়নের দিক থেকে বরাবরই ছিল পিছিয়ে। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে থাকা এই উপজেলাকে দিয়েছেন উন্নয়নের ছোঁয়া। তিনি এই জনপদকে তুলে দিয়েছেন উন্নয়নের মহাসড়কে।

জানা গেছে, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সাহেব পাড়ায় দীর্ঘদিনের রেলওয়ের পতিত জমিতে প্রায় সোয়া ৩শ কোটি টাকায় ব্যয়ে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্ট (জরুরী ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র) স্থাপিত হয়েছে এবং সম্প্রতি সান্তাহার ও উপজেলার নশরতপুরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে বিদ্যুতের দুটি উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ডজন খানেক ফিডার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিদ্যুত বিক্রয়-বিতরণ এবং সরবরাহ ব্যবস্থা মজবুত অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আদমদীঘি উপজেলায় শুধু পিডিবির গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রায় চার বছ পূর্বে পিডিবি এবং আরইবি কর্তৃপক্ষ এই উপজেলাকে শত ভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করায় তালিকায় স্থান দিয়েছেন।

প্রায় সাড়ে তিনশ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সান্তাহারের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নকশা তৈরিসহ নির্মাণ কাজ করেছে গনচীনের ’ডং ফাং ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।বাংলাদেশে তাদের হয়ে কাজটি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ’মেসাস বানরিকা ইন কর্পোরেশন’। এই প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করে। কাজ শুরু করে ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারী।

এই পিকিং পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, রাজশাহীর কাটাখালীসহ দেশের অনান্য কেন্দ্রের চেয়ে সান্তাহার কেন্দ্রটির কাজ অনেক দ্রুত হওয়ায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সন্তোষ প্রকাশ করে জানা গেছে, সান্তাহারের পিকিং প্লান্টটি ফার্নেস অয়েল দ্বারা পরিচালিত। এই কেন্দ্রটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডের সাথে যুক্ত হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, এই কেন্দ্রটি স্থাপনে ঐ এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রান্তাঘাট উন্নয়ন হয়েছে। অনেকের কর্মস্থল হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সাফল্য দৃশ্যমান হয়েছে।

নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকুজ্জামান উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমান আদমদীঘি উপজেলায় বিদ্যুৎ ও সোলারের আলোতে গ্রাম-শহর বর্তমানে একাকার প্রায়। বিদ্যুতের লোড শেডিং এই উপজেলায় নাই বললেই চলে। বর্তমান শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে আদমদীঘিকে ঘোষনা করা হয়েছে।