বরগুনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ফুপাতো ভাইকে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
প্রকাশ : 2024-12-06 18:05:13১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বরগুনা সদর উপজেলার ঘটবাড়িয়া এলাকায় সুজন (২১) নামে এক যুবকের হত্যাকারী আপন মামাতো ভাই রাতুল ওরফে শাওনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা নিয়ে আসে বরগুনা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ২৪ আগস্ট কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক নিজ গ্রামের (যুইগ্যা) নিলুফা ফরাজীর বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি নালা থেকে সুজনের মুখমণ্ডল স্যালাইনের পাইপ দিয়ে বাঁধা প্লাস্টিকের চালের বস্তা বন্দী অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত সুজনের বাবা বাদল ফরাজী তার ছেলেকে শনাক্ত করে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় এবং তাৎক্ষণিক থানায় খবর দিলে পুলিশ ও এলাকাবাসী মরদেহটি উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও জানা যায়, ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া বাজারে জাকিরতবক গ্রামের দেলোয়ার ফরাজীর ছেলে আরিফকে (২২) এলাকার কিছু উগ্র লোক মারধর করে। মারধরকে কেন্দ্র করে আরিফের পরিবার ২০ আগস্ট সকালে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার খবর জানার পর আসামিরা ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটবাড়িয়া বাজারে দলবদ্ধভাবে এসে বাদী পক্ষের কাছে কেনো মামলা করেছে জানতে চান। দুপক্ষের মাঝে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে এক পর্যায়ে তুমুল সংঘর্ষ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপি হয়। এতে বেশ কয়েক জন আহত হন। পরবর্তীতে ২২ আগস্ট জাকির তবক গ্রামের বাদল ফরাজীর ছেলে সুজন নিখোঁজ হন। সুজনের আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুজি করেও সুজনের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। দুদিন পর সকালে জাকিরতবক গ্রামের ইন্তাজ আলীর মেয়ে নিলুফা ফরাজির বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি নালার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী সুজনের বাবাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নিহতের বাবা বাদল ফরাজী এসে লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। বরগুনা থানার মামলা নং-২১, জিআর নং-২২৯/২৪, তারিখ- ২৫/০৮/২০২৪