বন ও কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় কাউনিয়ায় শিমুল গাছটি বিলুপ্তির পথে

প্রকাশ : 2022-03-03 19:52:46১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বন ও কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় কাউনিয়ায় শিমুল গাছটি বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে সৌন্দর্যময় ঋতু হলো বসন্ত। কাউনিয়ায় শিমুল ফুল জানান দিচ্ছে বসন্তের পরস। বসন্তের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় ফুল হলো শিমুল ফুল। শিমুল ফুলের লাল পাপড়ির সৌন্দর্য মানুষের মনে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। রাস্তায় শিমুল ফুলের পাপড়ি দূর থেকে হঠাৎ দেখলে মনে হয় লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কালের বিবর্তনে রংপুরর কাউনিয়া উপজেলায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, আগে প্রায় প্রতিটি গ্রামে গৃহস্থ বাড়িতে ১/২টি করে শিমুল গাছ ছিল, ছিল প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেল স্টেশন ও রেল লাইনের ধারে, হাট বাজার গুলোতে। এখন তেমন একটা দেখা যায় না। মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও গল্প বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চেনেনা শিমুল ফুল। নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক ভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই স্বাস্থ্যসম্মত ও আরামদায়ক। শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বি ত হচ্ছে মানুষ। অপরদিকে শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতো কৃষক। এ ছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামা লে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উপকারী এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের অনিহার পাশাপাশি কৃষি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সচেতন মহল। গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী জানান, প্রায় বছর দশেক আগেও কাউনিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ির আনাচে কানাচে চোখে পড়ত অনেক শিমুল গাছ। 

সহকারী অধ্যাপক আব্দুস ছালাম জানান, শিমুল ফুলের সমারোহই জানান দিত প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো। ঢুসমারা চরের কোব্বাত আলী জানান দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় দেশি তুলা খুজে পাওয়া যায় না। শিমুল তুলার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও কৃষি বিভাগ উদাসিন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, নির্বিচারে শিমুলগাছ নিধন ও চারা রোপণ না করায় শিমুল গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শিমুল গাছ রক্ষায় কৃষি ও বন বিভাগসহ সরকারি নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করেছেন সচেতন মহল।