বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ
প্রকাশ : 2022-01-31 13:54:50১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত চীনা নাগরিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়লাখনির উৎপাদন কার্যক্রম।
গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বড়পুকুরিয়ার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। খনির অভ্যন্তরে কর্মরত দেশীয় শ্রমিকদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে খনি বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কয়লাখনিতে ১৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। আমিসহ কয়লা খনির ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হই। এছাড়াও এখানে কর্মরত ২৯৩ জন চীনা নাগরিকের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত। ফলে কয়লা খনির উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খনির অভ্যন্তরে দুই লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি কয়লা মজুদ রয়েছে। ফলে কয়লা উৎপাদন আপাতত বন্ধ থাকলেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সবার সুস্থতার জন্য দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
কয়লাখনি সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভেতরে কর্মরত চীনা নাগরিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। পরে ১৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ৩১ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এছাড়া ২৯৩ জন চীনা নাগরিকের মধ্যে ২৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ৩৬ জনের পজিটিভ আসে। একইসঙ্গে করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে খনিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বর্তমানে খনিতে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে, তা দিয়ে দুই মাস উৎপাদন অব্যাহত রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী। এ সময়ের মধ্যে পুনরায় উৎপাদন শুরু করা গেলে জ্বালানির সংকট হবে না।
তবে এ দুই মাসের মধ্যে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা না গেলে জ্বালানির সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও জানান তিনি।