বজ্রপাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ
প্রকাশ : 2021-06-07 07:46:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশে গত এপ্রিল থেকে বজ্রপাতে প্রাণহানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ রোববার (৬ জুন) একদিনে সারাদেশে অন্তত ২২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর বজ্রপাতে মৃত্যু বা হতাহতের ঘটনা এড়াতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ হলে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাত একটি আকস্মিক ঘটনা, যা প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন।’
তবুও বজ্রপাতে মৃত্যু ও হতাহত এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক রোবেদ আমিন।
বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে অধ্যাপক রোবেদ আমিনের ৭ পরামর্শ-
১. বজ্রঝড় সাধারণত ৩০-৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেবে।
২. বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
৩. বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে যতো দ্রুত সম্ভব ভবন বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।
৪. বজ্রপাতের সময় যেকোনো ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে, ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
৫. খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক।
৬. বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া উচিত। সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
৭. যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ রাখা যাবে না।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী- দেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এর বেশিরভাগ
মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হাওর অঞ্চলে। মানুষ ছাড়াও বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুও মারা যায়। সরকার বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তবে গত বছর এবং চলতি বছরের ৬ মাসে বজ্রপাতে আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া তথ্যের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা