বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে 

প্রকাশ : 2022-08-17 19:53:51১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে। 

তিনি আজ রাজধানীর গুলিস্তানস্থ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, কমিশন গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করা হবে, এর নেপথ্যে কারা ছিল সেসব ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেওয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সাথে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যৎ  প্রজন্মকে সেটা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই কমিশন গঠন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন- সার্বভৌম ভূখন্ড উপহার দিয়েছেন। একজন মানুষ কত বেশি ত্যাগ স্বীকার  করতে পারেন, তাঁর প্রকৃষ্ট উদাহরণ বঙ্গবন্ধু। তাঁর মতো এমন কোনো রাজনীতিক বা নেতা নেই যিনি দেশের জন্য নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন, এত ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত বিশেষ পাঠ-কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সেরা পাঠক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয়  গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক সরাফ আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ ও বেসরকারি  গ্রন্থাগার প্রতিনিধি মো.শাহ নেওয়াজ। 

সংস্কৃতি সচিব মো: আবুল মনসুর বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের তখনই প্রকৃত শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হবে যখন আমরা তাঁদের জীবনযাপন ও ত্যাগের ইতিহাস জানবো এবং নিজেদের জীবনে অনুসরণ করবো। 

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সেরা ২০ জন পাঠক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের সমন্বয়ে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।