বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছেন ২৮ কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তর
প্রকাশ : 2023-07-27 14:25:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পাচ্ছেন প্রশাসনের ৩০ সরকারি কর্মকর্তা ও দপ্তর। এরমধ্যে রয়েছে ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তর। ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মনোনীতদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। গত বছর থেকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদলে নতুন আঙ্গিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে কর্মকর্তাদের এ পদক দেওয়া হচ্ছে।
এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ ক্যাটাগরিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পাচ্ছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এ পদক পাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআইর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।
‘উন্নয়ন প্রশাসন’ ক্যাটাগরিতে এ পদক পাচ্ছেন খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কে এম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান।
‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে মনোনীত হয়েছেন চারজন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে রয়েছেন- শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) পারভেজ হাসান, শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মতলুবর রহমান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন।
হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহানসহ ‘পরিবেশ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন মোট পাঁচজন। বাকিরা হলেন- হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।
‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে রয়েছেন- গাইবান্ধার বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক মো. আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও পলাশবাড়ির উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান ‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পাচ্ছেন। এছাড়া ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদি উর রহিম জাদিদ, ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টিলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক।