বগুড়ায় শাহীন হত্যায় ক্লু উদ্ধারে পুলিশ ব্যর্থ, ৫ বছর পর পিবিআই সফল

প্রকাশ : 2021-06-05 21:41:49১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বগুড়ায় শাহীন হত্যায় ক্লু উদ্ধারে পুলিশ ব্যর্থ, ৫ বছর পর পিবিআই সফল

বগুড়ায় এক হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন (হত্যায় কারও সম্পৃক্তা না পাওয়ায় প্রতিবেদন ) দাখিলের আড়াই বছর পর তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেটিকেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এলো হত্যাকারীরা একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার আদালতে এক আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যে হত্যার সাথে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পিবিআই বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পরিদর্শক জাহিদ হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

পুলিশ জানায়, কাহালু উপজেলায় ২০১৭ সালের ১১ জুন রাতে শিবগঞ্জের শাহিন নামের একজনকে হত্যা করা হয়। সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার স্ত্রী মোছা. নূর বানু বাদী হয়ে কাহালু থানায় অজ্ঞাতানামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এই মামলায় কাহালু থানা পুলিশ প্রথমে দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানকে। কিছুদিন পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে দায়িত্ব আসে তৎকালীন কাহালু থানার তদন্ত ওসি (পরিদর্শক) মাহমুদ হাসানের কাছে। তদন্ত শেষে তিনি এই মামলায় চূড়ান্ত (কোনো হত্যাকারী পাওয়া যায়নি) প্রতিবেদন দাখিল করেন আড়াই বছর আগে। 

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি তদন্ত করে ওই মামলায় কোনো ক্লু পাইনি। এটা আমার ব্যর্থতা। পিবিআিই পেয়েছে এটা তাদের সফলতার। এর চেয়ে আমার বেশি কিছু বলার নেই।’


এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর আদালত নিজের ইচ্ছায় এই মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের উপর দায়িত্ব দেন। তদন্ত শুরু করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন। তিনি বদলী হয়ে চলে যাওয়ার পরে এই মামলা তদন্তের ভার পান পিবিআইয়ের এসআই আকরাম হোসেন। দীর্ঘদিন তদন্ত করে তিনি এই হত্যায় জড়িতেদের গ্রেফতার করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন অনুসন্ধান শেষে গত ২ জুন কাহালু খামারপাড়া এলাকার রিপন সরদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের কাছে তিনি শাহিন হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার সাথে জড়িত আরও তিনজনের নাম বলেন। তারা হলেন, কাহালুর নাটাইপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে তারা মিয়া, সোহরাব হোসেন ও আনিসুর রহমান পাপন। শাহিনসহ হত্যার দিনে তারা পাঁচজনে কাহালু উপজেলার এক বাড়িতে চুরি করতে যান। ওই বাড়ির মালিক রিপনের মামা মো. আকতার ওরফে বুলু। ৯ বিঘা জমির লোভে বুলুকে বিপদে ফেলতে তার বাড়িতে শাহিনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় বুলুকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা ছিল রিপন ও তারা মিয়ার। 

পিবিআই পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, ক্লু-লেস এই হত্যা মামলা তদন্ত করতে অনেক সময় লেগেছে। এটা পিবিআইয়ের একটা বড় অর্জন।