বগুড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি

প্রকাশ : 2021-10-12 20:55:35১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

বগুড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি

বগুড়ায় পূর্ব-বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (১০ অক্টোবর) থেকে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করা হয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, সোমবার সকালে ০১৮৪৭৪২০৬৩২ থেকে ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ফোন করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নাম করে টাকা দাবি করা হয়। এই ফোন পাওয়ার পর তিনি তার সহকর্মীদের জানান বিষয়টি। তখন অন্য সহকর্মীরা জানান, তাদের অনেকের কাছে একইভাবে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু ভয়ে কেউ বলার সাহস করেননি।  

সূত্র বলছে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটির নামে আলাদা তিনটি মোবাইল নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ব্যাংকের সরকারি পরিচালক পদমর্যাদা থেকে যুগ্ম ব্যবস্থাপককে এ পর্যন্ত ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন অংকে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়। প্রত্যেকের কাছে ফোনকলে প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, চাঁদা না দিলে ২ নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, চাঁদা দাবিকৃত ব্যক্তিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ব্যাংক কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। 

এর মধ্যে গত শনিবারে ৫ জন কর্মকর্তার কাছে ০১৭৪২০৬৩৫৭৮৬ নাম্বার থেকে চাঁদা দাবি করা হয়। রোববারে আবারও অন্য ৫ জন কর্মকর্তার কাছে ০১৭২১১৩৪৩০৪ নাম্বার থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার ০১৮৪৭৪২০৬৩২ নাম্বার থেকে আরও ৫ জন ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নাম করে। 

চাঁদা দাবি করে ফোন পাওয়ার পর ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বগুড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
  
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, এই বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।