বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
প্রকাশ : 2022-01-11 15:06:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮) মারা গেছেন। সোমবার রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নাজমুল হাসান অরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। এছাড়াও তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। গত ২ জানুয়ারি (রবিবার) রাত ৮টার দিকে শহরের মালগ্রাম এলাকায় সংঘর্ষে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর কর্মী মিনহাজ হোসেন আপেলও (২৪) গুলিবিদ্ধ হন।
এলাকাবাসী জানায়, মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হলে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরমধ্যে নাজমুল হাসান অরেঞ্জ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনার পরের দিন ৩ জানুয়ারি অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
এদিকে অরেঞ্জ মারা যাওয়ার সংবাদে উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সোমবার রাত থেকে ওই এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে মরহেদ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এপর্যন্ত ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভূক্ত দুই আসামী খায়রুল ও টিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।