ফোক গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমি চাইলেন মেয়র
প্রকাশ : 2022-03-06 12:39:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পরিকল্পিত শহরের জন্য বাজার, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরিতে জায়গার প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বহুল প্রচলিত ফোক গান ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই’-এর কিছু অংশ গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবি তোলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীও করতালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানান।
রবিবার (৬ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনাবিদদের সহায়তায় একটি বিশদ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেন, কমপ্লেক্স করতে হবে। আমরা এখানে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, জোনাল কমপ্লেক্স করবো। এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়ার্ড অফিস, লাইব্রেরি এবং কালচারাল সেন্টার।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘একটা পরিকল্পিত শহর বলতে আমরা বুঝি- খেলার মাঠ, পার্ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল, কিচেন মার্কেট, কাঁচা বাজার, স্লটার হাউস, ক্যাটেল মার্কেট, সেনেটারি ল্যান্ড ফিল্ড, সেকেন্ডারি ট্রান্সফর্ম স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, গ্রেভিয়ার্ড, মসজিদ, উপাসনালয়। এগুলো করতে অবশ্যই আমাদের জায়গা লাগবে। এই নতুন অঞ্চলকে উন্নত করতে সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এজন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, ‘আমি যেগুলো বললাম- খেলার মাঠ-পার্ক; এগুলো করতে জায়গা লাগে আমাদের। একটি গান আছে, পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি মালিক না, আপনি হলেন ঘরের মালিক। আমি করজোরে আপনাকে বলবো, এই এলাকার জন্য যদি পার্ক করতে চাই, যদি ট্রাক স্ট্যান্ড করতে চাই, যদি খেলার মাঠ করতে চাই; নতুন এই ওয়ার্ডগুলোতে একটি জায়গাও সিটি করপোরেশনের হাতে নাই। এগুলো আছে প্রত্যেকটি সংস্থার কাছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে। আপনি বলেছেন, আপনি একটি শহর গড়বেন, এজন্য নতুন এই ওয়ার্ডগুলো করেছেন। আপনি আমাদের জায়গা দিন, আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা আমাদের নিজের খরচে আমরা সব করে নিতে পারবো।’