ফেসবুক-টুইটার বন্ধ করায় ইংলিশ ফুটবলের সঙ্গে এককাট্টা ইংলিশ ক্রিকেট

প্রকাশ : 2021-04-29 08:50:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ফেসবুক-টুইটার বন্ধ করায় ইংলিশ ফুটবলের সঙ্গে এককাট্টা ইংলিশ ক্রিকেট

বর্ণবাদ, ঘৃণাসূচক আচরণ ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিপক্ষে লড়াইয়ে কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল ইংলিশ ফুটবল। ইংল্যান্ডের যতগুলো ফুটবল সংস্থা আছে, সবাই এককাট্টা হয়েছে এই লক্ষ্যে। এবার এই লক্ষ্যে ইংলিশ ফুটবলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলাল ইংলিশ ক্রিকেট।

‘অনলাইনে ঘৃণাসূচক আচরণের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশে’ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। শুধু ইসিবি নয়, দেশটির কাউন্টি ক্লাব, নারীদের আঞ্চলিক দল ও পেশাদার ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশনও বয়কট করবে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

গত শনিবার ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা ও ক্লাবগুলো এক বিবৃতিতে জানায়, এপ্রিলের ৩০ তারিখ থেকে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বয়কট করবে। ইসিবি, ১৮টি কাউন্টি দল, নারীদের ৮টি আঞ্চলিক দল এবং পেশাদার ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন ঠিক এই বিবৃতি অনুযায়ী বয়কট করবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আলোচনার পর আজ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা।

ইংল্যান্ডে পেশাদার ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী রব লিঞ্চ বলেন, ‘ফুটবলের পাশেই আছে ক্রিকেট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। আমাদের সদস্যরা অনলাইনে ঘূণাসূচক আচরণের শিকার হন কিন্তু খুব কমই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বয়কটে অংশ নিয়ে আমরা ফুটবলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে চাই। শুধু খেলার জন্য কিংবা পেশাদার খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকায় কেউ যেন অনলাইনে বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার না হয়, সেই বার্তা দিতে চাই আমরা।’ ইংল্যান্ড জাতীয় দলের পেসার জফরা আর্চারসহ আরও অনেক ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন।


ইংলিশ ফুটবল যুক্তরাজ্যের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল, আরও কড়াকড়িভাবে অনলাইন নিরাপত্তা বিল প্রতিষ্ঠা করা হোক। এই কয়েক দিনে ইংল্যান্ডে ছেলে ও মেয়েদের খেলা যখনই হবে, তখন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ফেসবুকে, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্টগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ, ইএফএল, এফএ উইমেনস সুপার লিগ, এফএ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ, প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ), অর্থাৎ ইংল্যান্ডে ফুটবলবিষয়ক যতগুলো প্রধান সংস্থা আছে, সব কটিই অনলাইনে ছড়ানো ঘৃণা, বৈষম্য ও বিদ্বেষ আটকানোর জন্য হাতে হাত মিলিয়েছে। অনলাইনে ঘৃণা প্রতিরোধ করার জন্য মানুষজনকে শিক্ষিত করার ভূমিকা যে কতটা বেশি, এই প্রতিবাদের মাধ্যমে সেটাই আরও ভালো করে সবার কাছে ফুটে উঠবে বলে আশা করছে সংস্থাগুলো।