ফের করোনার থাবা খেলার দুনিয়ায়, স্থগিত এএফসি কাপ
প্রকাশ : 2021-05-09 14:14:06১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
করোনার থাবা এবার এএফসি কাপে (AFC Cup)। পিছিয়ে গেল এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট। অবশ্য এর জন্য বেঙ্গালুরু এফসির কয়েকজন ফুটবলারও দায়ী। এএফসি কাপের জৈব বলয় ভেঙে গতকাল রাতে বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলারদের দেখা যায় বাইরে ঘুরে বেড়াতে। যা একেবারেই ভালভাবে নেয়নি গ্রুপ পর্বের আয়োজক মলদ্বীপের সরকার। বায়ো বাবল ভাঙায় বেঙ্গালুরুর কাছে জরিমানা চাওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট আয়োজনেও আপত্তি জানায় তাঁরা। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এরপরই নিরুপায় হয়ে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এএফসি।
মলদ্বীপের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ গতকাল রাতে টুইটে বলেন, “বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) ফুটবলাররা কোনও নিয়ম মানছে না। ওঁদের দ্রুত ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। যে আচরণ ওঁরা করছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।” আজ সকালে আরও একটি টুইটে তিনি স্পষ্ট করে দেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে মলদ্বীপে এএফসি কাপের আয়োজন সম্ভব নয়। মলদ্বীপের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (FAM) এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, দ্রুত যাতে বেঙ্গালুরুর ফুটবলারদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়, সে ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মলদ্বীপের ফুটবল সংস্থাকে। সেদেশের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এএফসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেদেশে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের আয়োজন সম্ভব নয়। তাই টুর্নামেন্ট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এএফসিকে।
এই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস অবশ্য ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। কারণ, সবুজ-মেরুনের দুই তারকা প্রবীর দাস এবং শেখ সাহিল গতকালই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যর মা-ও এই মারণ ভাইরাসের কবলে। তাই এদের ছাড়াই টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে হত তাঁদের। সোমবারই মলদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় ব্রিগেডের। ইতিমধ্যেই স্পেন থেকে মলদ্বীপ রওনা দিয়ে দিয়েছেন কোচ অ্যান্তনীয় লোপেজ হাবাস। একাধিক বিদেশি ফুটবলারেরও আজই মলদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা। যা পরিস্থিতি তাতে সবটাই এবার বাতিল করতে হবে।