ফিলিস্তিনিদের রাফা একাংশ ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল

প্রকাশ : 2024-05-06 16:35:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ফিলিস্তিনিদের রাফা একাংশ ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফার একাংশ খালি করে দিতে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশের পর রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে লোকজন সরে যেতে শুরু করেছেন। সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন; যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করবে বলে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছে।

আরবি ভাষায় ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে, টেলিফোনে কল করে এবং যুদ্ধবিমান থেকে লিফলেট ফেলে রাফার বাসিন্দাদের শহরটির একাংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

রাফার বাসিন্দারা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফার পূর্বাঞ্চলে ২০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকাকে ‘‘সম্প্রসারিত মানবিক অঞ্চল’’ বলে অভিহিত করে সেখানে ফিলিস্তিনিদের চলে যেতে বলেছে। এর আগে, বসন্তের তীব্র বৃষ্টিপাতের সময় সেখানে কিছু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাফা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার আদেশটি অত্যন্ত বিপজ্জনক উত্তেজনা তৈরি করবে; যার পরিণতি চরম হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। ওয়াশিংটনের সাথে ইসরায়েলের মিত্রতার কথা উল্লেখ করে হামাসের কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘‘মার্কিন প্রশাসন দখলদারিত্বের পাশাপাশি এই সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রাফা ও এর আশপাশের যেসব এলাকায় ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের সরাতে চায় ইসরায়েল, সেসব এলাকায় আগে থেকে জনাকীর্ণ রয়েছে। সেখানে নতুন তাঁবু টানানোর কোনও জায়গা প্রায় নেই।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ইসরায়েলি অভিযান রাফায় আশ্রয় নেওয়া ১৪ লাখ মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। তবে তারা রাফায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য সম্ভাব্য সব তৎপরতা চালিয়ে যাবে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা আক্রমণে কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় আরও ৭৮ হাজার ১৮ জন আহত হয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।

সা/ই