ফার্নিচার মিস্ত্রি মোস্তফার বাড়িতে শোকের মাতম
প্রকাশ : 2024-03-18 13:10:16১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
❝ একদিন কাজ না করলে যার সংসার চলেনা, সব সময় ছেলে মেয়ের লেখা-পড়া আর ওদের ভবিষ্যৎ লইয়া ভাবত, এই মানুষটারেই ওরা জানে মাইরা ফালাইলো- এখন আমার সংসার চলাইবো কে ? পোলা পাইনরে মানুষ করমু কেমনে? তিনটা বাচ্চা লইয়া কই যামু? কি করমু? কার কাছে যামু? কে দেখবো আমাগো? ❞
কথা গুলো বলছিলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ফার্নিচারের নকশা করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নিহত ফার্নিচার মিস্ত্রি মোস্তফা খালাসীর স্ত্রী সালমা আক্তার।
গত শনিবার (১৬ মার্চ) টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বাঘিয়া বাজারে ফার্নিচারের নকশা করার জন্য মোস্তফার দোকানে কাঠ নিয়ে আসেন রাজন সিকদার। মোস্তফাকে রাজন তাঁর কাঠে তাৎক্ষণিক নকশা করে দিতে বলেন। মোস্তফা অন্য কাস্টমারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিক করা যাবে না বলে রাজনকে জানালে রাজন বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে দুজন তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে রাজন ও মোস্তফা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় রাজন মোস্তফার অন্ডকোষ চেপে ধরেন। সে সময় মোস্তফা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
মোস্তফাখালাসী (৪২) টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের হাটকান গ্রামের সফি উদ্দিন খালাসীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সালমা আক্তার, দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস (১৪), সাবিহা ফেরদৌস ( ১১ মাস), এক ছেলে সামি খালাসী (১২) রেখে যান। তিনি বাঘিয়া বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফার্নিচারের নকশার কাজ করতেন।
মোস্তফা খালাসীর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যায় হাটকান সামাজিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে সালমা আক্তার বাদি হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এদিকে মোস্তফা হত্যাকান্ডে এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। এই হত্যাকান্ডে মোস্তফার পরিবার ও স্থানীয়রা খুনি রাজন সিকদারের ফাঁসির দাবি তুলেছেন।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজন সিকদারকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সান