ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
প্রকাশ : 2023-09-09 09:43:44১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
২০১৮ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের সর্বশেষ এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে বাংলাদেশ? সাকিব আল হাসানের দল ২০১৮-এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে কি না, বলবে সময়। তবে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য, সমীকরণ এবং আশা কিন্তু একই। ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ম্যাচটা শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৩টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস, গাজী টিভি ও র্যাবিটহোল।
২০১৮ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ঠিক এবারের মতোই পরিস্থিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেবার সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচ জিতে ঠিকই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবারও সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। ফাইনালে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে। মানে সুপার ফোরে নিজেদের বাকি ম্যাচ দুটি সাকিবদের জন্য ‘অলিখিত ফাইনাল।’ আজ তার প্রথমটি।
ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে কলম্বোতে আজ সাকিবের দলকে জয় পতাকা ওড়াতেই হবে। যদি আজও কপালে হার জুটে, তাহলে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগেই সাকিবের দলকে হতাশবদনে নিতে হবে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি। সাকিব, মুশফিক, লিটনরা নিশ্চয়ই সেই হতাশার চিত্রনাট্য রচনা করতে চান না! বরং তারা নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়ানোর পণ করেই মাঠে নামছেন।
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সাকিবদের সামনে কিন্তু অনুপ্রেরণার ঢালিও সাজানো। ২০১৮-এর ঘটনা তো আছেই, সাকিবরা চাইলে অনুপ্রেরণা নিতে পারবেন এবারের আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেও। এবারের আসরেও গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই হেরে পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল সাকিবদের। কিন্তু সাকিবের দল হতাশায় ভেঙে পড়েনি। বরং গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রতাপে ঘুরে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে সরাসরিই সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ফাইনালের স্বপ্ন জীবন্ত রাখতে আজ তেমনই একটা দাপুটে জয় দরকার। সেটি হলে—লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের একটা প্রতিশোধও নিতে পারবেন সাকিবরা। মানে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
সেই দুই পাখি শিকারের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ দল পাকিস্তান থেকে শ্রীলঙ্কায় উড়ে গিয়ে গতকাল পুরোদমে অনুশীলন করেছে। অনুশীলনে জয় আশার ছবি যদি আঁকা হয়ে থাকে, তবে সেই ছবিটা ঝাপসা করে দিয়ে থাকতে পারে একটা শঙ্কাও। শঙ্কাটা বৃষ্টির। শ্রীলঙ্কায় এখন বৃষ্টির মৌসুম। আবহাওয়ার পূর্বাবাস অনুযায়ী, কলম্বোয় আজ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ! মানে যে কোনো সময় বৃষ্টি নেমে ভাসিয়ে দিতে পারে ম্যাচ। আফসোস শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের এই ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডেও রাখা হয়নি।
রিজার্ভ ডে প্রসঙ্গ আসলে উঠে আসার কথা ছিল না। কারণ, সূচি অনুযায়ী ফাইনাল বাদে সুপার ফোরের কোনো ম্যাচের জন্যই রিজার্ভ ডে ছিল না। কিন্তু হুট করেই সেই সমতার নীতিতে একটা বিরাট বৈষম্যের রেখা টানা হয়েছে। সুপার ফোরের বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে একমাত্র ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখার বিধান জারি হয়েছে! মানে শুধু আগামীকালের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে থাকছে। সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলো তা থাকছে না। গতকাল হাস্যকর, অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ এই দ্বৈত নীতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
গতকাল অনুশীলনের আগে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নিয়ে তেমন কিছু বলার সময়ই পাননি! সংবাদ সম্মেলনে বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় করতে হলো একমাত্র ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখার দ্বৈত নীতি নিয়ে! বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান কোচ, ‘এটা ঠিক নয়। কারণ, আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন চাইতে পারি।’
এসিসির এই দ্বৈত নীতির হতাশার আঁচড় বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা দলেও লেগে থাকবে। এই হতাশা কি আজ দুই দলের মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে? বৃষ্টি এসে ম্যাচটা ভাসিয়ে নিলে কিন্তু হতাশাটা রূপ নিতে পারে ক্ষোভে!গামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে আবাসন-সংকট কমিয়ে আনতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’