ফরিদপুরে বিএনপি-জায়ামাত সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর
প্রকাশ : 2025-03-17 11:29:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জায়ামাত নেতার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষচলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাগবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, দেনা-পাওনা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যার আগে স্থানীয় সালথা বাজারে সাবেক সালথা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আছাদ মাতুববরের সমর্থক হারুন মাতুব্বারের সঙ্গে জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্যার সমর্থক আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয়।
পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে গেলে হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে তাকে ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের কয়েক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জামায়েতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজনদের ডাকে।
কিন্তু আমার পক্ষের কিছু লোক সেখানে যায় না। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি প্রোগ্রামে এলাকার লোক আসলে আছাদ তাদের নিষেধ করে। এরই মধ্যে আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে ১০টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে সে।
এদিকে বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বর বলেন, 'জামায়েতের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্যা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে। জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করছে। আমি কোনো ঝামেলার পক্ষে না। ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য।
পরে জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির একপর্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুববর ঢাল-কাতরা নিয়ে তুরাফ মৃধার ওপর হামলা চালায়। এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলে তারা।'
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কা/আ