ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল ৮ প্রাণ

প্রকাশ : 2021-03-21 12:37:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল ৮ প্রাণ

ফরিদপুরের মধুখালীতে ট্রাক-মাইক্রোবাস এবং ভাঙ্গায় প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ও ট্রেনে কাটা পড়ে মোট আটজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে ভাঙ্গা সদরের গোলচত্বর এলাকায় এবং সকাল ৯টার দিকে মধুখালীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি ও পুখুরিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ঢাকায় স্নাতকে অধ্যয়নরত কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের কাউলিবেড়া গ্রামে বনভোজনের আয়োজন করেন। সারারাত বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে গভীর রাতেই মোটরসাইকেল যোগে কাউলিবেড়া থেকে ভাঙ্গা পৌরসদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিন বন্ধু। গোলচত্বরের নিকট মোটরসাইকেলটি পৌঁছালে বিপরীতগামী প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৪২-৮৬১০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান (২২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন তাদের অপর বন্ধু অপু (২০)। আহতকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত রনি ফকির ভাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব ফকিরের সন্তান ও নিহত শাকিল করাতকল ব্যবসায়ী শফিকুলের সন্তান। এদের দুজনের বাড়িই ভাঙ্গা পৌরসদরে। ঘাতক প্রাইভেটকারটি পুলিশ জব্দ করেছে। সেই সাথে প্রাইভেটকারের চালক জাকির আহম্মেদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

অপরদিকে এদিন সকালে রেলে কাটা পড়ে মারা গেছে নাঈম মাতুব্বর (২০) নামে এক যুবক। সে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বেল্লাল মাতুব্বরের সন্তান।

রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন কুমার জানান, সকালে ভাঙ্গা হতে রাজবাড়ীগামী লোকাল ট্রেনটি পুখুরিয়া স্টেশন ত্যাগ করার পরই ছেলেটি রেলে নিচে কাটা পড়ে। তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন মৃধা ও কানাইপুর হাইওয়ে থানার এএসআই মো. রাসেল জানান, ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার মাঝকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক ঢাকা থেকে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা এক নারীসহ দুইজন মারা যান। আহত হয় মাইক্রোবাসের আরও ১০ যাত্রী। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ ব্যক্তি মারা যান।

তারা আরও জানান, নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ট্রাকটিকে জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। তবে নিহতরা ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলে জানা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।