ফরিদপুরে এবার রেলপথ অবরোধ, আটকে আছে ঢাকাগামী ট্রেন
প্রকাশ : 2025-09-11 13:41:30১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে এবং পুনর্বহালের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়কের পাশাপাশি এবার রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ফলে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেলপথে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল, ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
এর আগে তিন দিন ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় লোকজন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১নং গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করছেন আলগী ইউনিয়নবাসী। এ ছাড়া খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন আটকা পড়েছে।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টায় খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ছেড়ে আসলেও ২০ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় একটি স্টেশনে আটকে রয়েছে৷ ট্রেনটি সকাল ৯টায় পৌঁছানোর কথা ছিল। এ ছাড়া সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে রূপসী বাংলা নামে বেনাপোলগামী আরেকটি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এতে তীব্র ভোগান্তির মুখে পড়েছেন খুলনাগামী যাত্রীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাকিবুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা ২০ কিলোমিটার দূরে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আটকে পড়া ট্রেনটি বিকল্প রেলপথে নেওয়ার কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্থানীয় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, যতক্ষণ দুটি আসনের সীমানা পুনর্বহাল না হবে, ততক্ষণ রেলপথ দিয়েও কোনও ট্রেন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘রেলপথ আটকানোর খবরটি জেনেছি। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বোঝাচ্ছি, কিন্তু কোনও কথা শুনছেন না তারা।’
জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুর-৪-এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পাশ্ববর্তী ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ইউনিয়ন দুটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেছেন স্থানীয়রা।
এ নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোনও আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে ‘প্রশ্ন তোলার’ সুযোগ নেই।
এরপরই এলাকাবাসী আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। তিন দিনের অবরোধের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।