প্রিয় বালিশ নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন ক্রিকেটার রিজওয়ান, রহস্য কী?
প্রকাশ : 2021-11-15 11:19:31১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। বিশ্বকাপ অভিযান শেষে পাকিস্তান দলের গন্তব্য এবার বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। দলের সঙ্গে এসেছেন রিজওয়ান। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন তাঁর প্রিয় বালিশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান দল। দুবাই হয়ে রিজওয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছে তাঁর প্রিয় বালিশটিও। একেবারে দুবাইয়ের টিম হোটেল থেকে শুরু করে পুরোটা সময় বালিশটিকে আকড়ে ধরে ছিলেন রিজওয়ান। টিম হোটেল থেকে দুবাইয়ের এয়ারপোর্ট, এরপর বিমান যাত্রার পর বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট। এমনকি বাসে করে বাংলাদেশে টিম হোটেল। কোথাও বালিশটিকে হাতছাড়া করেননি তিনি। এমনকি যখন ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন তখনও বুকের মধ্যে ধরে রেখেছিলেন বালিশটি।
রিজওয়ানের বালিশ প্রেমের মুহূর্তগুলো ঘুরে বেড়োচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সবারই প্রশ্ন রিজওয়ানের বালিশ প্রেমের এই রহস্য কী?
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বরাতি দিয়ে সেই কারণ বের করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজ। নিজেদের প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, মোহাম্মদ রিজওয়ানের বালিশ বহন নতুন কোনো ঘটনা নয়।
শুধু বাংলাদেশ সফরেই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও নিজের প্রিয় বালিশ সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন রিজওয়ান। এ খবর জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদেস।
তিনি বলেছেন, ‘রিজওয়ানের সব জায়গায় বালিশ নিয়ে যাওয়ার কারণটা খুব সাধারণ। সে অন্য কোথাও, অন্য কোনো বালিশে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে না। এ জিনিসটা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এমনকি দেশের মধ্যে খেলা হলেও রিজওয়ান বালিশ নিয়ে যায়।’
অর্থাৎ নিজের ঘুমকে প্রাধান্য দিয়েই মূলত সব জায়গায় বালিশ নিয়ে ঘোরাফেরা করেন রিজওয়ান। আর মাঠে ভালো খেলার জন্য ভালো ও পরিপূর্ণ ঘুম কতটা প্রয়োজন, তা তো প্রমাণ মেলে রিজওয়ানের ব্যাটিং পরিসংখ্যানেই। যিনি চলতি বিশ্বকাপ তথা চলতি বছর রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে।
সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচের পর রিজওয়ানের লড়াইয়ের গল্প সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেন পাকিস্তান দলের চিকিৎসক নাজিব সুমরো।
সংবাদমাধ্যমকে নাজিব বলেন, ‘৯ নভেম্বর ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয় রিজওয়ানের। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং দুই রাত তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে সেরে উঠে ম্যাচের আগে ফিট হয়ে ওঠেন। সেমিফাইনালে আমরা তাঁর নিবেদন ও দৃঢ়তা দেখেছি। পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য তাঁর স্পিরিট আমরা দেখেছি। তিনি কেমন পারফর্ম করেছেন, সেটা সবাই দেখেছে।’