প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে লৌহজংয়ে উৎসবমুখর আমেজ
প্রকাশ : 2023-10-09 17:11:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের ৮২ কিলোমিটার পথ ১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) উদ্বোধন করবেন। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। রেলে চড়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথাও রয়েছে তার। আধুনিক সড়ক যোগাযোগের পর দ্রুতগতির রেলসেবার সূবর্ণ যাত্রায় আনন্দিত পদ্মাপারের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে লৌহজংয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ৮২ কিলোমিটারের প্রথম সেশনটির উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। মাওয়া স্টেশনের পাশে সুধী সমাবেশস্থলে প্যান্ডেল তৈরিতে চলছে দেড় শতাধিক শ্রমিকের নিরলস কর্মযজ্ঞ। প্যান্ডেলের সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষের দিকে। দেশের এত বড় একটি প্রকল্পে কাজ করতে পেরে কম খুশি নন শ্রমিক-প্রকৌশলীরাও।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবরে খুশি স্থানীয় এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক ও লৌহজংয়ের কুমারভোগ ইউনিয়নের বাসিন্দা খান নজরুল ইসলাম হান্নান বলেন, আমরা মুন্সীগঞ্জের লৌহজংবাসী খুবই গর্ববোধ করছি। বাড়ির পাশে রেল-সংযোগ, কখনও চিন্তাই করতে পারিনি। কিন্তু এখন সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। এ জন্য আমরা লৌহজংবাসী প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রশিদ সিকদার গ্রামনগর বার্তাকে বলেন, বিক্রমপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাই। ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু পূর্ণতা পাবে রেল-সংযোগ চালুর মধ্য দিয়ে। এই অঞ্চলে অনন্য এক যোগাযোগ স্থাপন হবে, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান সাজু জানান, প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে এখানকার দলীয় নেতাকর্মীরা নতুনভাবে উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ হবে। বিক্রমপুরবাসী কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এবং প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাস্তার পাশে ফুল নিয়ে অপেক্ষা করবে। শুভেচ্ছা জানাবে।
প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন ব্যস্ত সময় পার করছে। নিরাপত্তার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, সুধী সমাবেশে ১০০০ থেকে ১২০০ মানুষ উপস্থিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলাসহ যাবতীয় বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর হক। তিনি বলেন, অনেক দিন পর প্রধানমন্ত্রী এত বড় ট্রেন লাইনে যাত্রা করবেন। সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবশেষ গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর স্পিড টেস্টে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলে ট্রেন। পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর পাথর নিয়ে চলে পরীক্ষামূলক মালবাহী ট্রেন।
এই প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ আগামী বছর জুনেই শেষ করে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালুর কথা রয়েছে।
কা/আ