প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশ : 2021-07-24 19:38:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
১৭ জুলাই গ্রামনগরবার্তায় প্রকাশিত ‘লৌহজংয়ে ভূয়া কারখানা দেখিয়ে দুই কোটি টাকা নিয়ে উধাও’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ করেছেন মো. আশরাফুল ইসলাম। প্রতিবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘গ্রামনগরবার্তা অনলাইন নিউজ পোর্টালে গত ১৭ জুলাই উল্লিখিত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদটি সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । প্রকৃতপক্ষে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করা এবং আমার সহায় সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিপ্রায়ে একটি কুচক্রীমহল আমার নামে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে এই বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ২৫ মে লৌহজং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে আমার নবনির্মিত ৩ তলা ভবনের ছয়টি ফ্লাট বিক্রি করার সম্মতি দিলে মোঃ হাজিদ খান ও মোয়াজ্জেম খান ৩টি করে ৬টি ফ্লাট ক্রয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তারা আমার সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভুয়া দলিল বানিয়ে ৫.৬০ শতক জমি নিজদের নামে দলিল করেন। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার ব্যবসার প্রয়োজনে আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের নিকট হতে ঋণ নিই এবং তা যথারীতি পরিশোধও করি। কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দিতে টালবাহানার কোনো অভিযোগ এর আগে কেউ আমার বিরুদ্ধে করেনি, কোনো ঋণদাতা আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করেন নাই। বরং বাসুদিয়ার মোয়াজ্জেম খান আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে আমার বাড়িতে হামলা করে বাড়ির আসবাবপত্ত্রের ক্ষতিসাধন করে নগদ টাকা ও ব্যবসায়ের মালামাল লুট করে আমাকে বাড়ি হতে বের করে দেয়। প্রাণ ভয়ে আমি লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যেতে পারিনি। উপায়ান্তর না দেখে পরবর্তীতে গাজিপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করি। (জিডি নং-৭৩৩, তারিখ ২৮ জুন ২০২১)।
আমি আশা করি, আমার প্রতিবাদপত্র প্রকাশ করে গ্রামনগরবার্তা কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ঘটনা জানতে এবং আমার সম্পর্কে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে সাহায্য করবেন।’
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে প্রতিনিধির বক্তব্য
উল্লিখিত প্রতিবেদনটি গ্রামনগর বার্তার প্রতিনিধি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট অফিস সমূহে অনুসন্ধান ও স্থানীয় জনগণের বক্তব্যের ভিত্তিতে তৈরি করেছেন। তিনি অনুসন্ধান করে দখেছেন যে, মো. আশরাফুল ইসলাম, যিনি নিজেকে পশু চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন, বাসুদিয়া গ্রামে তার পাঁচতলা ভবন ও জমি জোরপূর্বক দখল ও লুটপাটের যে অভিযোগ স্থানীয় অধিবাসী সালমান খা ও মোয়াজ্জেম গং-এর বিরুদ্ধে এনেছেন তার কোনো সত্যতা নেই।
ঘটনা স্থলে গিয়ে এবং এলাকাবাসীর কাছে জিজ্ঞেস করে এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদক জেনেছেন আশরাফুল ইসলাম লৌহজং কিংবা টঙ্গীবাড়ী থানায় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে মামলা বা জিডি করেন নি। এমন কি তিনি এসব বিষয় স্থানীয় সরকারি প্রশাসন বা সাংবাদিকদেরকেও জানান নি। তার ফ্ল্যাট বেচা-কেনার বিষয়ে সমস্ত দলিলপত্র ও প্রমাণাদি সালমান খান, মোয়াজ্জেম ও হাজিদ খানের কাছে রয়েছে, যা প্রতিবেদকের সংগ্রহে আছে।
সুতরাং গ্রামনগর বার্তার উল্লিখিত প্রতিবেদন কোনোমতেই ভিত্তিহীন, বানোয়াট বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রামনগর বার্তা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সব সময় সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।