পোল্যান্ডের কাছে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিক্রির সম্ভাব্য একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ : 2023-02-08 13:29:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পোল্যান্ডের কাছে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিক্রির সম্ভাব্য একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র

পোল্যান্ডের কাছে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিক্রির সম্ভাব্য একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এক হাজার কোটি ডলার মূল্যের চুক্তিটি করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে।

ওই প্যাকেজের মধ্যে আছে ১৮টি হিমার্স রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা, ১৮৫ মাইল রেঞ্জের ৪৫টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১ হাজারের বেশি গাইডেড মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম (জিএমএলআরএস) রকেট।  

পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো–অপারেশন এজেন্সি মঙ্গলবার কংগ্রেসকে সম্ভাব্য এ বিক্রির বিষয়টি জানিয়েছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদন পেলেও এখনো এ–সংক্রান্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। আলোচনাও পুরোপুরি শেষ হয়নি।

একদিকে সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ব্যয় বাড়িয়ে যাচ্ছে পোল্যান্ড, অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পুরোনো অস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দান করে দিচ্ছে দেশটি। পোল্যান্ডের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বিক্রির তালিকায় হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসও (হিমার্স) আছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার প্রশংসা করে থাকে ইউক্রেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল ইউক্রেন। তবে ওয়াশিংটন সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন সরকারের অনুমতি ছাড়া পোল্যান্ডও ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পারবে না।  

২০২২ সালে জেনারেল ডিনামিকসের তৈরি ১১৬টি আব্রামস ট্যাংক এবং ২৫০টি এম১এ২ ট্যাংক কেনার ছাড়পত্র পেয়েছিল পোল্যান্ড।  

গত মে মাসে পোল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ৫০০টি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা চেয়েছিল। তবে পোলিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পোল্যান্ডকে লকহিড মার্টিন করপোরেশন থেকে বলা হয়েছে, তারা প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দিতে পারবে।

গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে ২৮৮টি চুনমু রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে পোল্যান্ড। পেন্টাগন বলেছে, লকহিড হলো প্রধান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।