পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন  

প্রকাশ : 2022-10-16 18:49:09১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন   

পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাউনিয়ায় রবিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম ১২ লাখ টাকা যৌতুক গ্রহণ এবং আরও ২০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রী নির্যাতন ও ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি পীরগাছা উপজেলার খামার নয়াবাড়ি গ্রামের এন্তাজ আলীর মেয়ে। 

রংপুর কোতয়ালী থানার মধ্য পীরজাদাবাদ গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আনোয়ারুল ইসলামের সাথে ২০১২ সালে ২১ জুলাই ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক রেজিঃ কাবিননামা মূলে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর বাবার পেনশনের ১২ লাখ টাকা যৌতুক গ্রহণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। ১০ বছর দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান নেই। কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার ওসি থাকাকালে যৌতুকের দায়ে ইয়াছমিন আক্তারের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। নানা অজুহাতে স্বামীর নির্যাতনের এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অনুকূলে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। সে সময় ডিআইজি নির্দেশে কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় তাদের সন্দেহ, ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য ও পারিবারিক দ্বন্দ¦ নিয়ে উভয়ের সমস্যা ও আলোচনা শেষে ১৫ মার্চ ২০২২ নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে আপোষনামা করে দেন। পরবর্তিতে যৌতুকলোভী আনোয়ারুল পুনরায় ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করে ১৯ মার্চ  ২০২২ ইয়াছমিন আক্তারকে বাসা থেকে বের করে দেন। এর পর তিনি বাধ্য হয়ে ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে স্বামী, ভাসুর ও ননদের বিরুদ্ধে রংপুর কোতয়ালী মেট্রো থানার আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন ইয়াছমিন আক্তার। পরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ১১ মে ২০২২ কোতয়ালী থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। 

থানার মামলা নং ২২, জিআর ৩২৫/২০২২ এ মামলা রংপুর পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তকারী পিবিআই মামলাটি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের টালবাহানা করছেন। পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বর্তমানে ক·বাজার এপিবিএন/১৪ কমান্ডে কর্মরত রয়েছেন। অভিযুক্ত আসামীগণ যৌতুকলোভী আইন অমান্যকারী নিষ্ঠুর প্রকৃতির লোক। সুষ্ঠু ও ন্যায় পেতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান ভুক্তভোগী ইয়াছমিন আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে ইয়াছমিন আক্তারের স্বজনরাসহ উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।