পিচ নিয়ে কোন অজুহাত নয়, ধানক্ষেতেও ভালো খেলতে হবে: মুমিনুল
প্রকাশ : 2021-12-03 18:25:23১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঘরের মাঠে উপমহাদেশের দেশগুলোর বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গেলেই কী যেন হয় বাংলাদেশ দলের। উইকেটের চরিত্র কী হবে, সেটি নির্ধারণ করাই হয়ে যায় কঠিন কাজ। উপমহাদেশের দলগুলোকে স্পিন দিয়ে বধ করা মুশকিল।
পেস আক্রমণও অতটা ভালো নয় যে সবুজ ঘাসের গালিচায় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ব্যাটিং উইকেটে খেলে আবার টেস্ট জেতাও মুশকিল। এ যেন এক মহাসমস্যা! টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক অবশ্য উপমহাদেশের দেশগুলোর বিপক্ষে ব্যাটিং উইকেটেই খেলতে চান। নিজেদের ব্যাটিংকেই মূল শক্তি মনে করেন এই বাঁহাতি।
আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুল বলেছেন, ‘এটা সবাই জানে, উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিন ভালো খেলে। তাই এখানকার দলগুলোর বিপক্ষে স্পিন উইকেটে না খেলাটাই ভালো। কেবল আমি নই, বিশ্বের সব দলই তা–ই করবে। তাই আমার মনে হয়, ভালো ব্যাটিং উইকেটে খেলাটাই ভালো হবে।’
তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেকোনো উইকেটের সঙ্গেই তাদের মানিয়ে নিতে হবে। সেটি বোঝাতে গিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে উইকেটের অজুহাত কাম্য নয়। এটাতে আমি নিজেও একমত নই। যদি ধানখেতেও খেলতে দেওয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। এসব নিয়ে অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদারিত্ব দেখালেই ভালো হয়।’
মুমিনুল অবশ্য পেশাদারিত্বকে শুধু খেলার মাঠেই সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তাঁর কথায়, ‘সবকিছু মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্ব। নিয়মানুবর্তিতার বিষয় আছে, ভালোমতো অনুশীলন করা, নিয়মমাফিক কাজ করা, প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা বুঝে অনুশীলন করা—এগুলোও কিন্তু পেশাদারিত্বের ভেতরেই পড়ে। সবাই এ ক্ষেত্রে পেশাদার, কেউ হয়তো সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।’
তবে মিরপুরের উইকেটের গল্পটা অবশ্য এতটা সহজ নয়। মিরপুরের উইকেট যে কখনো ব্যাটিং–সহায়ক, কখন বোলিং–সহায়ক, সেটি বলা মুশকিল।
লাল বলে অবশ্য ভালো ব্যাটিং উইকেটেরই আশায় আছেন টেস্ট অধিনায়ক, ‘সাদা বলে একরকম হয়। সাদা বলে যেহেতু দুই পাশ থেকে নতুন বল থাকে, তখন হয়তো বিভিন্ন কিছু হয়। কিন্তু লাল বলে তো দুই দিকেই একই বল ব্যবহার হয়। আমার কাছে মনে হয় যে লাল বলে সাদা বলের চেয়ে ভালো উইকেট হবে।’