পাবনার কাজিরহাট-আরিচা পারাপারের অপেক্ষায় চার শতাধিক যান
প্রকাশ : 2021-08-28 10:22:17১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পাবনার কাজিরহাট থেকে মানিকগঞ্জের আরিচা রুটে প্রথম দিকে চলাচলকারী চারটি ফেরি ছিল। এরপর একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনটি ফেরি দিয়ে চলছিল এই রুট। তিনটির মধ্যে একটি ফেরি বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকল হওয়ামাত্র দুটি ছোট ফেরি দিয়ে চলছে এই রুট।
এতে যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ দুই পাড়ে চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। কাজিরহাট ঘাট এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তীব্র স্রোত আর ফেরি-সংকটে কাজিরহাট ঘাট থেকে আরিচা পার হতে যানবাহনগুলোকে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই নৌপথে চলাচলকারী চারটি ফেরির মধ্যে একটি শিমুলিয়া ঘাটে নেওয়া হয়েছে। তিনটি ফেরি দিয়ে চলছিল পারাপার। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) কপোতী নামের ফেরিটি বিকল হয়ে যায়।
বর্তমানে গোলাম মওলা ও কলমিলতা নামের ছোট দুটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে । যে ফেরি দুটি দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১০০ যানবাহন পারাপার করা যায়। বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামাল নামের বড় দুটি ফেরি এখান থেকে নিয়ে যাওয়ায় ফেরি পারাপারে ধীরগতি আসছে, যে কারণে দুই পাড়ে নদী পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন।
জানা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। অন্যদিকে অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা। বৃষ্টির মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক সুজন হোসেন জানান, আজ তিন দিন হলো এসেছি কাজিরহাট ঘাটে। ফেরির সিরিয়াল পাইনি। অনেক কষ্টে দিন পার করছি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে আসা বাবুল আক্তার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, দিনের পর দিন এখানে ট্রাক নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। এখানে নেই কোনো আবাসিক হোটেল, নেই কোনো বাথরুম। গোসল, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করতে পারি না। কী যে কষ্টে আছি বলে বোঝাতে পারব না।
যশোর থেকে মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে কাজিরহাট ফেরিঘাটে পৌঁছান ট্রাকচালক আফজাল মিয়া। শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি তিনি। তিনি জানান, সরকারকে ঠিকমতো টোল দিলেও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এই রুট এখন অনেকটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে গাড়ির চাপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু ফেরি বাড়ানো হচ্ছে না। বেগম সুফিয়া ও বেগম রোকেয়া নামে দুটি ফেরি নিয়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফেরি না বাড়ানো পর্যন্ত যানজট নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না।