পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু কৃষি জমিতে না ফেলে বিকল্প ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : 2021-05-05 21:00:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু কৃষি জমিতে না ফেলে বিকল্প ব্যবস্থার দাবি ও ড্রেজিং ঠিকাদার কর্তৃক জমির মালিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সাত গ্রামের জমির মালিকরা বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেণ জমির মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুন্দরতলা এলাকার জমির মালিক মোঃ আলম গাজী বলেন, আমরা মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দুরতলা, তেলিখালী, আমতলা, গাববুনিয়া, কলাতলা, কেয়াবুনিয়া ও চিলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বংশপরম পড়ায় বসবাস করে আসছি। মোংলা বন্দরের ইনার বার ড্রেজিংয়ের বালু আমাদের কৃষি জমি ও বসতবাড়িতে ফেলার পায়তারা করছে। আমরা জানতে পেরেছি এই সাত গ্রামের মানুষের প্রায় ৭‘শ একর কৃষিজেিত এই বালু ফেলা হবে। আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে ড্রেজিং কর্মকান্ড শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় দুইশ একর জমি ঘিরে নিয়েছে তারা। আমরা বাঁধা দিলে ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের ভাড়া করা গুন্ডারা আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্যও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এঅবস্থায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে এবং যেকোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে গ্রামবাসী।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, আমাদের না জানিয়ে জমিতে বালু ফেলার ব্যবস্থা করেেেছ বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমরা যখন বাঁধা দিয়েছি, তখন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এক একর জমির জন্য ২০ হাজার টাকা বাৎসরিক ভাড়া দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমাদের এসব গ্রামে এক একর জমিতে বছরে আমরা এর থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করি। কোনভাবেই এক একর জমির বাৎসরিক ভাড়া ২০ হাজার টাকা হতে পারে না। ৭‘শ একর জমিতে বালু ফেললে কয়েকশ কৃষক নিস্ব হয়ে যাবে। না খেয়ে মরতে হবে আমাদের। বন্দরের উন্নয়নের জন্য যদি আমাদের জমি প্রয়োজন হয় তাহলে সরকার অধিগ্রহন করে নিক। কিন্তু জমি ভাড়া নিয়ে সারা জীবনের জন্য জমিকে অনাবাদী বানাতে চাই না।
তারা আরও বলেন, সরকার হয়ত দুই বছর বা তিন বছর ভাড়া দিবে, কিন্তু বালু ভরাট করা যায়গায় আগামী ৫০ বছরেও কিছু হবে না। তাহলে দুই বছরের টাকায় আমাদের কি হবে। আমরা কোন হুমকী ধামকী মানিনা। প্রয়োজনে জীবন দিব তবু বাপ-দাদার জমিতে বালু ভরাট করতে দিব না। প্রয়োজনে আদালতের দারস্ত হওয়ারও ঘোষনা দেন তারা।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মাফতুন মুকুল, আলী রেজা মুকুল শিকদার, নজরুল ইসলাম হাওলাদার, আবু হানিফ ফকির, হুমায়ুন কবির, ওবায়দুল সরদার, বিজন কুমার বৈদ্য, মোঃ আলাউদ্দিন শেখ, জাকির মোসাল্লি, হেম মন্ডল, ঝুমুর বেগম, সোমা মন্ডলসহ ওই এলাকার অর্ধশতাধিক জমির মালিক উপস্থিত ছিলেন।