পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য বসে থাকা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : 2021-06-01 20:18:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য প্রায়ই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দেরি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ অধিদপ্তরকে দ্রুত ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাড়পত্র দিতে দেরি হলে চুপ থাকাকে সম্মতির লক্ষণ ধরে নিয়ে কাজ এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সরকাপ্রধান।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আজকের একনেক সভায় ৬৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কটি কুষ্টিয়া হতে মেহেরপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শিরোনামের প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র দিতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরকে। ওই সময়ে না দিলে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তখন ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করতে পারবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তো আর বসে থাকা যাবে না। কোনো কাজ ফেলে রাখার সুযোগ নেই। চুপচাপ বসে থাকবেন সে সুযোগ নেই। তাই দ্রুত ছাড়পত্র দিতে হবে।’
প্রকল্প শুরু হওয়ার পর পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আপত্তি এলে সে ক্ষেত্রে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেন, ‘পরিবেশ সরকারের অংশ, যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে তারাও সরকারের অংশ। কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নকালে যদি এমন কোনো সমস্যা দেখা যায়, সত্যিই সেটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে তখনও যদি কোনো আপত্তি আসে, তা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন কোনো কিছু করবো না, যা পরিবেশের ক্ষতি হয়।’
কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো যেন বন্ধ না হয়, প্রধানমন্ত্রী সেগুলোর দিকে নজর দিতে বলেছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদী বড় নদীতে পানি প্রবেশ ও বের হওয়ার যে খালগুলো রয়েছে, এগুলো যেন বন্ধ না হয়, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। নদী এলাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নকালে সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।’