পদ্মা সেতুর পিলারে আবারো ফেরির ধাক্কায় জিডি, তদন্তে নৌ-পুলিশ

প্রকাশ : 2021-08-10 13:03:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পদ্মা সেতুর পিলারে আবারো ফেরির ধাক্কায় জিডি, তদন্তে নৌ-পুলিশ

আবারো নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছে। ফেরিতে থাকা ট্রাক ছিটকে প্রাইভেটকারে উপর পড়লে দুইটি গাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে রো রো ফেরি “বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর”এর ধাক্কার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন।

গতকাল সোমবার রাতে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আবদুর কাদের লৌহজং থানায় এ জিডি করেন। জিডি নম্বর ৩৬৮। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) তদন্ত কর্মকর্তা ও মাওয়া নৌ-পুলিশের আইসি সিরাজুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত জিডিতে বলা হয়, ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে সজোরে আঘাত করে। এতে পিলারের পাইল ক্যাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া, ফেরিটির ইঞ্জিন সাইটের বডি ফেটে যায়। ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন উল্টে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগেও একাধিকবার বিআইডব্লিউটিসি'র ফেরি সেতুর পিলারে কয়েকবার আঘাত করেছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার বিআইডব্লিউটিসি এবং সংশ্লিষ্টদের মৌখিক ও লিখিতভাবে সাবধানতার সঙ্গে ফেরি চালানোর জন্য অনুরোধও করা হয়। এ ঘটনা বারংবার ঘটায় সেতুর নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া ফেরি যানটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসংখ্য প্রাণঘাতীর ঘটনাও ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ফেরিটির ফিটনেস ছিল কিনা, চালকের যথাযথা যোগ্যতা, শারীরিকভাবে অসুস্থতা, অবহেলা, অদক্ষতা ছিল কিনা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগে গত ২৩ জুলাই সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল রো রো ফেরি শাহজালাল। ওই ঘটনায় পিলারে তেমন ক্ষতি না হলেও আহত হয়েছিলেন ফেরির অন্তত ২০ জন যাত্রী।

পদ্মা সেতুর পিয়ারে ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের ফেরি শাহ জালালের চালককে (মাস্টার) সাময়িক বরখাস্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিসির একজন পরিচালককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ২৫ জুলাই। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য ফেরির মাস্টার ও হুইল সুকানিকে দায়ী করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাবাজার ঘাটটি মাঝিকান্দি অথবা পুরনো মাওয়া-বাংলাবাজারে স্থানান্তর, সেতুর পিলারে রাবারের ফেল্ডার স্থাপন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন ক্ষমতার জলযান চালানোর সুপারিশ করে। পরবর্তী সময়ে ২৯ জুলাই ঘটনার সরেজমিন তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।