পদ্মা সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ১৫ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশ : 2022-08-09 09:42:58১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পদ্মা সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ১৫ জনের কারাদণ্ড

শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ১৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ০৯টায় জাজিরা উপজেলা নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের এ সাজা দিয়েছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল। আটককৃতরা হলেন, মহসীন(২০), জুয়েল(৪০), আশরাফুল(২৪), আব্দুল রহমান(২৬), মো. রাজু(২২), সাইদুল(৪২), কামাল হোসেন(৩৫), নূর নবী(৫৫), আক্তার কাজী(৩৫), লিটন(৪০), মো. বারেক(২৫) তানজিল(২৮), খোকন হোসেন (৩২), বাবুল(৩৫)।
 
এর আগে পদ্মা সেতু জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর মাঝে সারি সারি অবৈধ ড্রেজার। এগুলোর মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে তোলা হচ্ছে বালু। নদীর যে অংশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তার পশ্চিমে পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণে পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া গ্রাম।


 
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও এভাবে খনন করে বালু উত্তোলন করায় পাইনপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
 
উত্তোলন করা এসব বালু প্রতি ঘনফুট বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ পয়সা দরে। শত শত বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব বালু পৌঁছানো হচ্ছে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। এসব ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত ১৫ জনকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
 
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেহেতু এটি পদ্মা সেতু এলাকা তাই এলাকাটি স্পর্শকাতর। এখানে কোন ধরনের অবৈধ ড্রেজিং মেশিন চলবে না। সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি।