পদ্মার তীরে মিলন মেলা

প্রকাশ : 2022-07-13 18:34:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পদ্মার তীরে মিলন মেলা

অলোক কুমার মিত্র
------------------------------


সংস্কৃতির মহাসংকটে আমাদের মাঠ দখল, চারিদিকে এক অন্ধকার আচ্ছন্ন মনন, সেখানে হাটিহাটি পা পা করে এগিয়ে যাওয়া সংগঠন অবারিত বাংলা মুক্তবুদ্ধি চর্চা, সংস্কৃতির কালো মেঘ অপসারন করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নিয়ে ছোট ছোট কাজ করে যাচ্ছে।

সংগঠনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক খান নজরুল ইসলাম হান্নানের পৃষ্ঠপোষকতায় আজ পদ্মার তীরে সন্ধ্যায়, আয়োজন করা হয় ঈদ আনন্দ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। শুদ্ধ বাংলা গান চর্চা আর বাঙালির শেকড় রবীন্দ্র-নজরুলের গান, প্রজন্মকে যাতে আকর্ষন করে সে প্রচেষ্টায় আজকের এই আয়োজন।

নির্মল আনন্দ যে মানুষের মনন বিকাশে সহায়তা করে তারই প্রয়াস ছিলো আজকের আয়োজন। একেবারে সাদামাটা ছোট অনুষ্ঠানে আলো আঁধারে বসে পদ্মার নির্মল প্রবাহমান প্রাণ জুড়ানো বাতাসের ছোঁয়ায় আকাশে পুর্নিমার চাঁদের আলোয় কথা সাহিত্যিক, গায়ক ও অংকন শিল্পী সোহেল রিয়াজুলের উপস্থাপনায়, তারঁ দুই মেয়ে রবীন্দ্র -নজরুলের গান গেয়ে মুগ্ধতা এনে পরিবেশেটাকে অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। 

শিপ্রা মল্লিক হারানো দিনের গান আর স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজের হাওয়াই গিটার রাতের পদ্মা পাড়ে দারুণ এক আবহাওয়ার সৃষ্টি করে। 

অবারিত বাংলার নির্বাহী পরিচালক খান নজরুল ইসলাম হান্নান এর আগে লালন উৎসবে, বাউল গানের আসরের আয়োজন করেন।

নজরুল ইসলাম খান হান্নান ‘সুফি বাউল ঘরনার বাংলাদেশ’-- তার চেতনায়, চিন্তায় উন্মুখ করার এক বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সমাজে এক ধরনের বন্ধ্যা প্রজন্ম তৈরী হয়েছে, তাদেরকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে অবারিত বাংলার সদস্যরা তাদের সীমিত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তাদের মতো করে। 

এ প্রজন্মকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে --তা থামানো যাবে না এমন ছোট ছোট আয়োজন গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে দেবার মানসিকতা নিয়ে সবার কাজ করা প্রয়োজন বলে খান নজরুল ইসলাম হান্নান মনে করেন।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের একজন সদস্য হিসাবে যোগ দিয়ে বহু স্বজন সমাজহিতৈষী ব্যক্তি, লেখক, সাংবাদিক, বিচারক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, সংগঠক, বন্ধু ছোট ভাই সবার সাথে ঈদের পর দেখা হলো --এ জন্য নির্বাহী পরিচালক হান্নানকে ধন্যবাদ। 

নিজের শারিরীক অবস্থা ভাল না, তা মেনেও আজ না গেলে সবাইকে মিস করতাম। আলাদা ভাবে আর কারো পরিচয় দিলাম না। আমার বড়দের ঈদের প্রণাম, ছোটদের শুভেচ্ছা আর বন্ধুদের ভালবাসা। অবারিত বাংলা অবারিত ভাবেই নিজদের মতো যাত্রা অব্যাহত রাখুক এ কামনা করি।

আমার ছোট ভাই খান নজরুল ইসলাম হান্নানের দীর্ঘ জীবন কামনা করি। 

এ যুদ্ধ সৃষ্টির, এ যুদ্ধ কল্যান আর এ সংগ্রাম সম্প্রীতির। এখানে থেমে যাবার সুযোগ নেই। জয়তু অবারিত বাংলা।