পঞ্চগড় সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি দিয়েও তদন্ত হলোনা
প্রকাশ : 2024-08-31 17:46:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ভূমি রেকর্ড ও অধিদপ্তরের তদন্ত থেমে গেলো। পঞ্চগড়ে এক নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধে অতি সম্প্রতি তদন্তের উদ্যোগ নেয় রেকর্ড ও ভূমি অধিদপ্তর। কিন্তু চিঠি দিয়ে দিনক্ষণ জানানোর পর তা কার্যকরী হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্টের নৈশ্য প্রহরী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে চলমান ভূমি জরিপের আওতায় বিভিন্ন ধারায় চলমান কাজে নিজে ভূমি মালিকদের উপস্থিতির হাজিরা সহ কাগজপত্রাদি গ্রহন ও বিতরণ কার্যক্রমের অভিযোগ ওঠে। তিনি রাজস্ব কর্মকর্তাকের বিভিন্ন ধারার বিচারিক প্রতিদিন নিয়মিত হাজিরার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে ঝাড়–দার থেকে নানা কৌশলে কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ০১/০৩/২০২৩ ইং নৈশ্য প্রহরীর নিয়োগ নেন। জানা যায়, ঝাড়–দার থাকা অবস্থাতে ও তিনি অফিস চলাকালীন সময় অফিসেই উপস্থিত থেকে রাজস্ব কর্মকর্তাদের টেবিল তদারকী বা ভূমি মালিকদের বিভিন্ন ধারার উপস্থিতি নিতেন। এ সময় কার্যত: সব কাগজপত্র তার হাতেই আসতো। তারপরে ঝাড়ুদার থেকে নৈশ্য প্রহরীর পদে নিয়োগ পান। এরপর একই কাজ করতে থাকেন দাপটের সাথে। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সূত্র ধরে মাঠ পর্যায়ে তার দৌরতœ্য বেড়ে যায়। সেটেলমেন্ট’র ৩১ ও ৩২ ধারা এবং বাদ পড়া তসদিক সহ সব ধরনের কাজকর্ম হাতিয়ে নিতেন তিনি। এমন সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এলাকার বিভিন্ন মৌজার ভূমি মালিকদের নিকট নানা রকম কাগজের জটিলতা দেখিয়ে খেয়াল খুশিমত বড় অঙ্কের টাকা দাবী করেন ‘ না হলে এটা হবেনা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন। সহসা তার হাতে চলে আসে লাখ লাখ টাকা। কিনে ফেলেন মোটর সাইকলে টিভিএস-৫ জি ও অপর ১টি চার্জার মোটর সাইকেল। এরই মধ্যে কিনেন প্রায় ৫/ ৭ বিঘা জমি। তার এহেন কার্যকলাপ নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়। তার দম্ভ ও বেপরোয়া আচরনে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিভিন্ন মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ সংবাদের সূত্র ধরে গত ভূমি রেকর্ড ও জরিপ জরিপ অধিদপ্তর হতে স্বারক নং- ৩১.০৩.২৬৯২.০০৩.০২৫.২৩-৩৪৩ তারিখ- ৩১/৭/১২০২৪ ইং একটি একটি নির্দেশের আলোকে মো. সাজেদুর রহমান উপ-পরিচালক( সেঃঅপাঃ-২) পত্র দিয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ২০/৮/২০২৪ ইং সকাল ১০.৩০ সময় তদন্ত অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত নৈশ্য প্রহরী সহ সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তা বিনা নোটিশে তদন্তে উপস্থিত হননি। এছাড়া অদ্যেবধি কোন পত্র দেননি। তদন্ত কর্মকর্তা না আসা ও তার কোন পত্র ণা আসায় সবাই হতবাক হয়েছে।
এবিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সহকারী সেটেলেমেন্ট কর্মকর্তা(এএসও) জহিরুল ইসলাম জানান, তদন্ত হবে তবে সে বিষয়ে আমাকে কোন চিঠি দেয়নি শুধু মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে আবার চিঠি দিয়ে জানানো হবে।