পঞ্চগড়ে স্বামীর ভিটে ছাড়া মনোয়ারা বেগম

প্রকাশ : 2024-09-17 17:20:42১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে স্বামীর ভিটে ছাড়া মনোয়ারা বেগম

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম  ও তার কন্যাসন্তানকে সাড়ে ৬ শতক জমি দিয়েছিলেন স্বামী লুৎফর রহমান। সেই জমিতেই বাড়ি করে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মনোয়ারা।

 এরপর একদিন হঠাৎ করেই তাকে তালাক দিয়ে বসে তার স্বামী, বের করে দেয় নিজের এবং সন্তানের নামে দেওয়া ওই রেজিষ্ট্রিকৃত বাড়ি থেকে। প্রায় ৮ বছর ধরে বাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবার দাবি তার।মঙ্গলবার  পঞ্চগড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন তিনি। মনোয়ারা বেগম পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকার আলহাজ্ব লুৎফর রহমানের স্ত্রী ছিলেন।তার অভিযোগ, স্বামীর আগের সংসারের সন্তানেরা তাকে অধিকার বঞ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় লুৎফর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম নুরুজ্জামান, নুর নেওয়াজ ও নুর কুতুব।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ২০০৩ সালে আলহাজ্ব লুৎফর রহমানের সঙ্গে আমার ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। আমাদের দাম্পত্যে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমাদের দাম্পত্য চলাকালে আমার স্বামী ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে আমার নামে ২ শতক ও আমার মেয়ে  জান্নাতুন লোবার নামে সাড়ে ৪ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এই জমিতে আমি বসতবাড়ি এবং দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। জায়গাটা বাজারের ওপর হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে আমার স্বামীর আগের সংসারের সন্তানেরা। প্রত্যেকই আওয়ামী লীগের পদধারী প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় আমার স্বামীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে ২০১৬ সালে আমার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করে। এরপর সকলে মিলে আমার ও আমার মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি দেওয়া দলিলের সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আমাকে আমার বসত বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অধিকার বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি আমার নামে রেজিষ্ট্রি হওয়া সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মনোয়ারা বেগমের আগের সংসারের মেয়ে তাজনিম কণ্যা। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমার মায়ের সঙ্গে এতদিন ধরে অন্যায় করে আসছে লুৎফর রহমান এবং তার সন্তানেরা। তারা আমার সঙ্গেই অন্যায় করেছে। আমার মা’কে যখন বিয়ে করে তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। তখন এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে আমাকে নিজের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করে লুৎফর রহমান। তার পরিচয়েই আমি বড় হয়েছি, আমার সব ডকুমেন্টে বাবার নামের জায়গায় তার না। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে সব অস্বীকার করছেন।বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে কারো সহযোগীতা পাইন।এ বিষয়ে আলহাজ্ব লুৎফর রহমানের ছেলে নুর নেওয়াজ বলেন, ওই জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে যদি জমিটি তারা পায়, আমাদের তাতে কোন আপত্তি নেই।