পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে সারজিস আলম

প্রকাশ : 2025-10-12 12:53:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক নাগরিক পার্টি(এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন জুলাই সনদ জনগনের সনদ। আমরা আশা করি অন্তবর্তী সরকার ও ঐক্যমত কমিশন জনগনের আকাঙ্খাকে প্রধান্য দিবে বলে। তিনি শনিবার রাত সাড়ে নটার দিকে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্কে লংমার্চ পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমাদের এনসিপির পক্ষ থেকে সবশেষ স্পষ্ট প্রস্তাব ছিল এটার জন্য সবচেয়ে সান্সটেইবল ওয়ে হচ্ছে গনপরিষদ নির্বাচন। কিন্তু এরপরে ও যখন ঐক্যমত কমিশনে গনভোটে অধিকাংশের এখানে সম্মতি ছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে এনসিপির পক্ষ থেকে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।
তিনি বলেন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন একদিন দুই দিন পেছানোর বিষয় ইম্পর্ট্যান্ট নয়। সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় হচ্ছে এটার বাস্তবায়ন হওয়া। এটার আইনগত ভিত্তি থাকা। এটা তো জনগনের সনদ, জনগন যেনো এটা পায় তা নিশ্চিত করা। এটা যেমন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে চাই এটা ঐক্যমতের কমিশনকেও তাদের জায়গা থেকে নিশ্চিত করেই তারপরে দায়িত্ব ছাড়তে হবে। অন্যথায় অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের ছাত্র-জনতার সাথে এটা একটা বড় বিশ্বাসঘাতকতা হয়ে থাকবে। কিন্তু আমরা আশা করছি এই অন্তবর্তীকালীন সরকার ঐক্যমত কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সে পথে না গিয়ে জনগননের আকাঙ্খাকে প্রাধ্যন্য দিবে। আমরা মনে করি ১৫ তারিখ হোক ১৭ তারিখ হোক আমরা জুলাই সনদ যে ভাবে পেতে চাই ‘ সে ভাবে আমরা পাচ্ছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আমাদের আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর তাকে সমর্থন জানিয়ে একটি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। কারন তিনি অভ্যূথান পরবর্তী সময় সবচেয়ে যে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে তার দূঢ় সিদ্ধান্ত এসেছে। তার মধ্যে তিনি একটা নিয়েছেন এবং আমরা বিশ্বাস করি। তিনি যিনি যেটা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি শেখ হাসিনার রায় নিশ্চিত করবেন। আমরা আশা করি সেই রায়ও তিনি তার জায়গা থেকে নিশ্চিত করবেন। একদম আর্ন্তজাতিক মান মেইনটেইন্ট করে। আমরা তার ওই পেশাদারিত্বের উপর আমাদের আস্থা টুকু আছে।

সারজিস বলেন, সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে আমরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধার জায়গায় রাখি সন্মানের জায়গায় রাখি। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রের সাথে তাদের যে সন্মান সেটা ওৎপোতভাবে জড়িত। কিন্তু সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য অফিসার, মেজর, জেনারেল বিগত শেখ হাসিনার সময় সরাসরি গুম, খুন বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড আয়না ঘরের নিস্পেষিত নিপীড়ন এবং নির্মম নির্যাতন গুলো তাদের নেতৃত্বে তাদের দ্বারা হয়েছে। আমরা তাদেরকে সেনাবাহিনী থেকে আলাদা করতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা, শাস্তি এবং শাস্তি কার্যকর দেখতে চাই। এটা যদি না করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মত গুরুত্বপূর্ন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সাথে, রাষ্ট্রের সম্মানের সাথে সম্পর্কিত যে প্রতিষ্ঠান সেটা কুলষিত হবে। সেখানে কালো দাগ থাকবে। যেটা আমরা চাইনা। তাই আমরা অনুরোধ করবো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের জায়গা থেকে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। তারা যেনো তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন এবং আমরা ওই সকল খুনি এবং খুনের সাথে সম্পর্কিত যারা অফিসার জেনারেল বা যেই থাকুক না কেনো তাদের যেনো শাস্তি নিশ্চিত হয় সে বিষয়ে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।